দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃসিডনি টেস্ট ৪০৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৩১ ওভার ব্যাট করে ঐতিহাসিক ড্র করেছে ভারতীয় দল। আজ সকালে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে আউট হবার পর মনে হয়েছিল ম্যাচ হয়তোবা হাতছাড়া হয়ে গেল ভারতের। কিন্তু দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাকিং ইনিংস খেলতে শুরু করেন ঋষভ পান্থ। যা এক সময় ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অজি বোলারদের মনেও। সঙ্গে একই রকম ডিপেন্ডেবল ছিলেন পুজারা। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে বারোটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে অসাধারণ ৯৭ রানের ইনিংস উপহার দেন পান্থ। ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন পূজারাও। যদিও তারা আউট হতে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়েছিল ভারত কিন্তু ২৫৮ বলে ৬২ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে ভারতকে এই ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা বিহারী। কিন্তু প্রথমবার অজিদের হাত থেকে ম্যাচ হাতছাড়া হতে শুরু করে ঋষভ পান্থের কাউন্টার অ্যাটাকিং ইনিংস থেকেই।
আরে কথা বুঝতে পারার সাথে সাথেই জঘন্য আচরণ করতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। এমনিতেই দর্শকদের আচরণ ইতিমধ্যেই ম্যাচের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এরই মাঝে ড্রিঙ্কস ব্রেক চলাকালীন পান্থের ব্যাটিং গার্ডের চিহ্নটি পিচ থেকে মুছে দেন স্টিভ স্মিথ। এই আচরন যথেষ্ট বিরক্ত করেছে সকলকে প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সেওয়াগ টুইট করে লেখেন, “সব রকম কৌশল অবলম্বন করছে অস্ট্রেলিয়া, এমনকি পান্থের ব্যাটিং গার্ডের চিহ্নও মুছে দেবার চেষ্টা করলেন স্মিথ। কিন্তু কিছুই কাজে এলোনা।
কিন্তু আজ ভারতীয় দলের প্রদর্শন দেখে আমি ভীষণ খুশি। ছাতি চওড়া হয়ে গেল বন্ধু।”
শুধু পান্থের ক্ষেত্রেই নয় ম্যাচ হাতছাড়া হতে শুরু করতেই জঘন্য আচরণ শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। রবীচন্দ্রন অশ্বিনকেও ক্রমাগত বিরক্ত করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টিম পেইন। শুধু তাই নয় ভারতীয় দলের এত চোট-আঘাতের পরেও এই যে লড়াই, তা নিয়েও করা হয় ব্যঙ্গ। রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা ক্রিজে থাকাকালীন ভারতীয় খেলোয়াড়দের চোট নিয়ে ব্যঙ্গ করার চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়ানরা। ফিল্ডিং করার সময় হঠাৎ হাত ধরে বসে পড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। ঋষভ পান্থের হাতের চোটকে ইঙ্গিত করেই যে এই ধরনের আচরন তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়না।
একই আচরণ করেন ম্যাথু ওয়েডও। শর্ট লেগে ফিল্ডিং করবার সময় হঠাৎই পড়ে যাওয়ার অভিনয় করেন তিনি। একের পর এক ভারতীয় খেলোয়াড়দের আহত করেছে প্যাট কামিন্স, হাজেলউডদের বল কিন্তু আজ লড়াই ছাড়েননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা। আর তা দেখেই ফাস্ট্রেশন তৈরি হয় অজি শিবিরে। সেই কারণেই একাধিকবার এ ধরনের আচরণ করে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু আজ রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা যেন ছিলেন অন্তর্লীন। বাইরের কোনো কথাই প্রভাব ফেলতে পারেনি তাদের ব্যাটিংয়ের। দু-একবার জীবনদান পেলেও আজ ফায়দা তুলতে কোন ভুল করেননি এই দুই তারকা। আর সেই কারণেই প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ বাঁচিয়ে এখনো সিরিজে সমতা বজায় রেখেছে ভারতীয় দল।