দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ সিডনির বর্ণবৈষম্যমূলক বিতর্কের পর ব্রিসবেনে কড়া পদক্ষেপ নিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। মাঠে ৫০℅ দর্শককে প্রবেশ করতে দিলেও কর্তৃপক্ষের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় বর্ণবৈষম্যমূলক চিন্তাভাবনা মাঠের বাইরে গেছে আসতে হবে দর্শকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিডনিতে দর্শকদের তরফ মোহাম্মদ সিরাজকে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করা হয়। সীমানার ধারে ফিল্ডিং করতে এলে তাকে বিগ মাঙ্কির মত অশালীন শব্দ ব্যবহার করে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনা ভালো চোখে দেখেনি কেউই। সিরাজ অভিযোগ জানানোর পর কর্তৃপক্ষের তরফে দর্শকদের বের করে দেওয়া হয় প্রথম দিন, কিন্তু তার পরেও একই রকম মন্তব্য করা হলে পুলিশি সাহায্য প্রদান করা হয়। আবারো বের করে দেওয়া হয় ছয়জন দর্শককে।
আজ তাই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই, অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইন স্পষ্ট ভাষায় বলেন,”মাঠে আসুন ক্রিকেট উপভোগ করতে। যাকে খুশি সমর্থন করুন। অস্ট্রেলিয়াকে করুন, ভারতকে করুন। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষী ভাবনা স্টেডিয়ামের বাইরে রেখেই মাঠে ঢুকুন।”
স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের মন্তব্যের পর যথেষ্ট বিতর্ক শুরু হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েও। আর সেই কারণেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিল তারা।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষেও আজ দিন খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। একদিকে যেমন দুবার জীবনদান পাওয়ার পর ১৯৫ বলে নটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো দুরন্ত শত রান পূর্ণ করলেন লাবুশানে। তেমনই আবার চোটের খাতায় নাম লেখালেন নবদীপ সাইনি। আজ চা পান বিরতির কিছু আগে বোলিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সাইনি। ভারতের জন্য দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ হল সেই বলেই রাহানের হাত থেকে প্রথম জীবন দান পান লাবুশানে। এরপর আপাতত এখনো মাঠে ফিরতে পারেননি সাইনি। বিসিসিআই জানিয়েছে তার চোট কতটা গুরুতর তা পরীক্ষা করে দেখছেন মেডিকেল টিম।শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।
তবে এই মুহূর্তে কিছুটা কামব্যাক করেছে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করা নটরাজন পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে ফেলে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথমে ৪৫ রানে তিনি ফিরিয়ে দেন আক্রমণাত্মক ম্যাথু ওয়েডকে। আর তারপরেই ১০৮ রানে একই ধরনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে পান্থের হাতে ক্যাচ দেন লাবুশানেও। ফলে আবার কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যায় ভারত। এই মুহূর্তে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন টিম পেইন এবং ক্যামরণ গ্রিন।
লেখাঃ অভিরূপ দাস