দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ফের দুঃসংবাদ ক্রিকেটে। সৌরভ গাঙ্গুলী, কপিল দেবের হার্ট অ্যাটাকের পর এবার মস্তিকে রক্তক্ষরণের সমস্যায় পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল প্রাক্তন কৃতি স্পিনার বি.এস চন্দ্রশেখরকে। আকস্মিকভাবে স্ট্রোক হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭৫ বছর বয়সী এই কৃতী ক্রিকেটারকে। ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে চন্দ্রশেখরের নাম সবসময়ই উঠে এসেছে কিংবদন্তিদের তালিকায়। ১৫ জানুয়ারি থেকে কথা জড়িয়ে যাওয়া এবং ফ্যাটিকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী আপাতত অনেকটাই সুস্থ চন্দ্রশেখর দু’দিনের মধ্যেই হয়তোবা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাকে।
কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানানো হয়েছে, “প্রাক্তন ক্রিকেটার বিএস চন্দ্রশেখরকে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। তবে ক্রিকেটারের শারীরিক পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো। “
তার স্ত্রী সন্ধ্যা চন্দ্রশেখর এএনআইকে বলেন,”উনি একেবারেই সুস্থ ছিলেন এবং ম্যাচ দেখছিলেন। ঠিক তখনই হঠাৎ ওর কথা জড়িয়ে যায় এবং ফ্যাটিক শুরু হয়। সাথে সাথেই আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আপাতত ওনার শারীরিক পরিস্থিতি ভালো আশাকরি দুদিনের মধ্যে ওনাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবো।”
কিংবদন্তি এই লেগ স্পিনার ভারতের হয়ে মাত্র ৫৮ টি টেস্টে ২৫২ টি উইকেট শিকার করেছিলেন। ১৫ বছরের এই দীর্ঘ কেরিয়ারে মোট ১৬ বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট দখল করেছেন তিনি। ১৯৬১ সালে প্রথমবার ভারতীয় জার্সিতে খেলতে দেখা যায় চন্দ্রশেখরকে। ১৯৭৯ সালে সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি। মাত্র একটি একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল চন্দ্রশেখরের সেখানেও মাত্র ৩৬ রান দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট দখল করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার এই দুঃখজনক সংবাদে শোকাহত ক্রিকেটমহল। যে যুগে ভারতের হয়ে সারাবিশ্বে রাজ করেছিলেন চন্দ্রশেখর, তখনো জোরে বোলিং ভারতের কাছে প্রায় নেই বললেই চলে। সে যুগে স্পিনাররাই ছিল ভারতের একমাত্র অস্ত্র।