দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেই লজ্জাজনক ২২৭ রানের হার সহ্য করতে হয়েছে বিরাট কোহলিদের। প্রথম ইনিংসেই রুটের দুর্দান্ত দ্বিশতরানের দৌলতে ৫৭৮ রান খাড়া করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৩৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রুট। এমনিতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা ছিল যথেষ্ট কঠিন। কারণ যেকোনো ব্যাটসম্যানদের কাছেই রীতিমতো ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছিল চেন্নাইয়ের পিচ। নানা জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় রীতিমতো সাহায্য পাচ্ছিলেন স্পিনাররা। এমনকি জোরে বোলারদেরও বেশ সহায়ক হয়ে উঠেছিল এই উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একদিকে ইংল্যান্ড যখন ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়, অন্যদিকে সারা দিন ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি ভারতও। দশ উইকেট খুইয়ে কেবলমাত্র ১৯২ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছিল তারা।
স্বাভাবিকভাবেই পিচ থেকে দুর্দান্ত সহায়তা পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররাও। বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ একাই তুলে নিয়েছিলেন চার চারটি উইকেট। আর সেই কারণেই বিশেষত ভারতে পিচ নিয়ে যথেষ্ট মাথাব্যথা থাকে অধিনায়কদের। যেমন মাথাব্যথার কারণ তৈরি হয়েছিল কোহলির জন্যেও। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘটে এই ঘটনাটি। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে খুচরো রান নিতে গিয়ে পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ে যান ইংল্যান্ডের তারকা বোলার জোফরা আর্চার। স্বাভাবিকভাবেই স্পাইক পড়ে পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ানো মানেই আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে পিচ। সেই কারণেই আম্পায়ার নীতিন মেননকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান কোহলি। কোহলি বলেন , “ওয়ে মেনন, সোজা রানও ওরা পিচের মাঝখান দিয়ে দৌড়ে নিচ্ছে। কী হচ্ছে এ সব?”
সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল তবে আম্পায়ারকে এধরনের অশোভন সম্বোধনই নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া নেটিজেনদের। অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন আম্পায়ার কি কোহলির বন্ধু নাকি যে তাকে তুই-তোকারি করছেন ভারত অধিনায়ক। বিরাটের চেয়ে যিনি এত বয়সে বড় তাকে কিভাবে এমন সম্বোধন করতে পারেন তিনি। যদিও ঘটনাটি তেমন বড় কোন রূপ নেয়নি মাঠে, কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের নজর কেড়েছে কোহলির এই বাক্যবাণ। তাদের অনেকেই এও মনে করেছেন যে যেকোনো সম্মানীয় মানুষের প্রতি তার আরও শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।