দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গতকাল ভারতের দেওয়া রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে আজ ভজন বিরতির আগে অবধি মাত্র ১১৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। ফলত প্রয়োজন ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে একদিকে দাঁড়িয়ে থাকা লড়াই করেছিলেন রুট। যদিও লাঞ্চের ঠিক আগেই একবার বড় জীবনদান পান তিনি। কিন্তু লাঞ্চের পর আর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এমনিতেই পিচে আজ বল যেভাবে লাফাচ্ছিল তাতে উইকেটে টিকে থাকা ছিল প্রায় অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত লাঞ্চের পর অক্ষরের বলে শেষ হয়ে যায় তার ৩৩ রানের লড়াই। ৯২ বলে তিনটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো তার এই ইনিংস ছিল সত্যিই লড়াকু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্ষরের বল কানা কেটে পৌঁছায় অজিঙ্কা রাহানের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই এই সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে কোন ভুল করেননি ভারতের সহ-অধিনায়ক।
ফলতো শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের শেষ আশাও। নিজের প্রথম ম্যাচেই পঞ্চম উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি চলে আসেন অক্ষর প্যাটেল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট ছিলেন তার চতুর্থ শিকার। নিজের পঞ্চম উইকেট শিকার করতে অবশ্য বেশি সময় নেননি অক্ষর। পরের ওভারেই অলি স্টোনকে ফিরিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৪১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এরই সাথে সাথে এক বিরল তালিকায় নিজের নাম অঙ্কিত করলেন অক্ষর। এর আগে অবধি নিজেদের অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট বা তার বেশি নিয়েছেন মাত্র ৮ জন ভারতীয় খেলোয়াড়। মোহাম্মদ মিশর, ভ্রমণ কুমার, সৈয়দ আবিদ আলি, দিলিপ দোশি, নরেন্দ্র হিরওয়ানি, অমিত মিশ্র, রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং মোহাম্মদ শামি। এবার সেই তালিকায় নবম খেলোয়াড় হিসেবে নিজের নাম অঙ্কিতা পড়লেন অক্ষরও।
জয়ের জন্য এখন ভারতের দরকার ছিল মাত্র একটি উইকেট। যদিও এরই মাঝে বেশ কিছু বড় শট খেলে ম্যাচের উত্তেজনা কিছুটা বজায় রাখার চেষ্টা করেন মঈন আলি। কিন্তু ভারতীয় জয় সত্যিই এখন ছিল সময়ের অপেক্ষা। প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতের হয়ে মেসেজ টোন সেট করে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সাথে ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশত রান করেন পান্থও। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় রুট বাহিনী। দ্বিতীয় ইনিংসেও বিরাট কোহলির অর্ধশতক এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দুর্দান্ত শতরানের দৌলতে ২৮৬ রান খাড়া করে ভারত। যার ফলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৮২ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও সেভাবেই দাঁড়াতে পারেননি কেউই। শেষবেলায় অবশ্য মঈন সত্যি বেশকিছু দুরন্ত শটে শক্তি প্রদর্শন করেন। কুলদীপ যাদব অক্ষর প্যাটেল রবীচন্দ্রন অশ্বিন কাউকেই আজ বল খেলার সুযোগ দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৮ বলে পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি এবং তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে গড়ে তোলা তার ৪৩ রানের ইনিংস শেষ করে দেন কুলদীপ যাদব। ফলে শেষমেষ ১৬৪ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৩১৭ রানের বড় জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারতীয় দল।