দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলের লিগ স্টেজের সেকেন্ড লাস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গোয়া এবং হায়দ্রাবাদ। দুটো দলের কাছেই আজকের ম্যাচ ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে প্লে-অফের দরজা খুলতে গেলে শেষ ম্যাচ জিতে নিতে হতো হায়দ্রাবাদকে। অন্যদিকে ড্র করতে পারলেই কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে গোয়া। শুরু থেকে আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করে দুই দলই। তবে আজ দুই শিবিরেরই ডিফেন্স ছিল বেশ শক্ত। বিশেষত প্রশংসা করতে হবে গোয়ার। বারবার আক্রান্ত হয়েও বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনে হচ্ছিল তাদের ডিফেন্সকে।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করেছিল ইয়াসির, হলিচরণ নার্জারীরা। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডেডলক ভাঙতে পারেনি তারা। তবে গোয়া আজ অনেকটা বেশিই ঝুঁকেছিল ড্রয়ের দিকে। তাদের মত আক্রমণাত্মক দলও আজ প্রথম অর্ধে তেমন ভাবে আক্রমণ তুলে আনেনি। বরং রক্ষণে মনোযোগ দেওয়াই হয়েছিল আজ তাদের মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ বারবারই চেষ্টা করছিল ডেডলক ভাঙতে। যদিও বেশ কিছু ভালো আক্রমণ তুলে এনেও শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে গোলের ফসল তুলতে সক্ষম হয়নি তারা।ফলতো প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও গোয়ার রণনীতি ছিল একইরকম। ডিফেন্সকে শক্ত রেখে মূলত কাউন্টার অ্যাটাকের ওপরেই নির্ভর ছিল তারা। যদিও একথা ঠিক যে মূলত দ্বিতীয়ার্ধেই বারবার গোলের মুখ খুলেছে হায়দ্রাবাদ। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু গোল খাওয়ার রেকর্ড রয়েছে গোয়ার। কিন্তু আজ দ্বিতীয়ার্ধে বেশকিছু কাউন্টার অ্যাটাক করে শুরুতেই হায়দ্রাবাদকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে গোয়া। যদিও হায়দ্রাবাদের জন্য আজ মাঠে ছিলেন না আরীদানে সন্টানা কিংবা আশিষ রাই। ফলতো মাঠে বেশ কিছুটা একা লাগছিল সান্দাজাকে। ৫৮ মিনিটের মাথায় আদিলের হ্যান্ডবল থেকে ভালো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল হায়দ্রাবাদ। কিন্তু লুইসের ফ্রি-কিক গোলে রাখতে পারেনি তারা।
ম্যাচের বয়স যত বাড়ছিল ততোই চাপ বাড়ছিল তাদের ওপর। অন্যদিকে প্রশংসা করতে হবে ডোনাচি, গঞ্জালেজ, মার্টিনস এবং গামাদেরও। তাদের ডিফেন্স ভেঙে আজ বল নিয়ে যাওয়া সত্যিই তাই অসম্ভব হয়ে উঠেছিল হায়দ্রাবাদের জন্য। অন্যদিকে দ্বিতীয় জলপান বিরতির কিছুটা আগে ফ্রিকিক থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিল গোয়াও। কিন্তু ডিফেন্সের দেয়াল ভাঙতে পারেননি এডু বেডিয়া। অন্যদিকে স্নায়ুর চাপের কারণে বেশ কিছু সহজ ভুল করছিল হায়দ্রাবাদও। ৭৩ মিনিটের মাথায় পরপর দুটি কর্নার পেলেও ডেডলক ভাঙতে পারেনি হায়দ্রাবাদ।
শেষ কোয়ার্টারের প্রথম দিকেই অবশ্য প্রায় পরপর দুটি ফ্রী কিকও পেয়ে গিয়েছিল হায়দ্রাবাদ। কিন্তু আজ ফিনিশিং সমস্যল্লল্ল রীতিমতো ভোগাচ্ছিল তাদের। আবারও ৮৫ মিনিটের মাথায় ভিক্টরের পাস থেকে দুরন্ত সুযোগ এসে গিয়েছিলো গিয়ানিজের কাছে। কিন্তু মাথা ছুঁইয়ে আজ গোলের মুখ খুলতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ের একদম শেষে কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করেছিলেন এডু বেডিয়াও। কিন্তু গোলের ফসল তুলতে পারেননি ডোনাচি। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেও দুরন্ত সুযোগ পেয়েছিল হায়দ্রাবাদ। এমনকি পরাস্ত হয়েছিলেন গোলকিপার ধীরাজও। কিন্তু ইভানের অনবদ্য রক্ষনে দুর্গরক্ষা করে গোয়া। এরপরেও শেষ মুহূর্তে মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলে এনেছিল হায়দ্রাবাদ। কিন্তু ধীরাজের দুরন্ত রক্ষণে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায় গোয়া। ফলে শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত ড্র তুলে নিয়ে প্লে-অফের দরজা খুলল তারা। রক্ষণে দুরন্ত ভূমিকার জন্য হিরো অফ দ্যা ম্যাচ মনোনীত হন আদিল খান।