দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অলিম্পিক হবে ভারতে, ভারতীয় খেল প্রেমী হিসেবে এর চেয়ে বড় স্বপ্ন বোধহয় আর কিছুই হতে পারে না। এবার তাদেরই স্বপ্নই যেন আশার আলো সঞ্চার করল দিল্লি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৫১ এবং ১৯৮২ সালে এর আগেও দু’বার এশিয়ান গেমসের মত বড় ইভেন্ট আয়োজন করার সুযোগ পেয়েছিল রাজধানী দিল্লি। আর সেই কাজ সফলভাবে করেও ছিল তারা। এরপর ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল দিল্লীর বুকে। সেবারও আয়োজক হিসেবে সফল হয়েছিল ভারত। এছাড়া ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আইসিসির একাধিক ইভেন্ট আয়োজন করার দক্ষতা তো রয়েছেই তাদের। তেমনই ফুটবলেও অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করেছিল ভারত। তাই কেনই বা অলিম্পিক আয়োজন করার সুযোগ পাবেনা দিল্লি। ঠিক এই প্রশ্নও তুলেছেন দিল্লির বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। ২০৪৮ সালে অলিম্পিক ভারত তথা রাজধানীর বুকে আয়োজন করতে তারা যে ভীষণরকম আগ্রহী এ কথা জানিয়ে মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে তিনি বলেন, “দিল্লিতে অলিম্পিক আয়োজন করা একটা বিরাট স্বপ্ন আমাদের। আর এই কথাটা আমি এই বিধানসভায় জানাতে চাই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে একবারই মাত্র অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছিল ভারতের নাম। ১৮৯৭ সালে এথেন্স অলিম্পিকের মশাল এসেছিল ভারতে। কিন্তু আজ অবধি সেটাই প্রথম এবং শেষ। তারপর অলিম্পিক কর্তারা আজও অবধি ভারতের কথা ভেবে উঠতে পারেননি। অথচ একাধিকবার বিভিন্ন দেশের অলিম্পিকে পুরস্কার জিতে নিয়ে ভারতকে গর্বিত করেছেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু নিজের দেশের মাটিতে পুরস্কার জয়ের স্বাদ পূর্ণ হয়নি। আর সেই কারণেই এবার সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল দিল্লি প্রশাসন। এদিন বাজেট অধিবেশনে শুধু স্বপ্ন দেখানোই নয়, অলিম্পিকের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর তৈরি করার কথাও উল্লেখ করেন মনীশ। তার মতে সরকারের লক্ষ্য একাধিক ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। যাতে সমস্ত অংশ থেকে ক্রীড়াবিদরা উঠে আসতে পারেন এবং পরিকাঠামো নির্মিত হয়। একমাত্র তাহলেই হয়তো ২০৪৮ সালের মধ্যে অলিম্পিক ভারতে আয়োজন করার আবেদন জানানো সম্ভব।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেন, ‘৩২ তম অলিম্পিক টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে। এর পরেই পরের তিনটি অলিম্পিক কোথায় হবে সেটা ঠিক করা হবে। আমাদের সরকারের লক্ষ্য খেলাধুলার পরিকাঠামো তৈরি করা। যাতে নতুন ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে ৩৯তম অলিম্পিক আয়োজন করার আবেদন আমরা করতে পারি।’