দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারতীয় দল। ভারতীয় দলে দুটো বড় পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চোটের কারণে বাদ পড়ায় ঈশান কিশানের জায়গায় আনা হয় সূর্য কুমার যাদবকে এবং অন্যদিকে যুবেন্দ্র চাহালের জায়গায় দলে আসেন রহুল চাহার। টসে জিতে আজও প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গান। দুই ম্যাচের বিশ্রাম থেকে ফেরার পর গত ম্যাচেও সেভাবে প্রদর্শন করতে পারেননি রোহিত শর্মা। আজও ভালো শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় জোফরা আর্চার এর বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
দলের হয়ে আজ তিন নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। আর প্রথম বলেই জোফরা আর্চারকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে ইনিংসের অভিমুখ সেট করে দেন তিনি। তারপর অবশ্য তার হাত থেকে রেহাই পাননি পেশার স্পিনার কেউই। তার খেলার ভঙ্গিতেই আজ ভারতের মানসিকতা বদলের ছবিটি ছিল পরিস্কার। কিন্তু আজও বড় রান উপহার দিতে পারেননি কে এল রাহুল, বেশ কিছু সময় ক্রিজে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাক্তিগত ১৪ রানের মাথায় স্টোকসের বলে মিডঅফে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ সূর্যর সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক কোহলিও৷ ইনিংসের শুরুতেই স্টেপ আউট করে বড় শট খেলতে গিয়ে আদিল রশিদের বলে স্টাম্প হন তিনি। তবে অন্যদিকে লাগাতার উইকেট পতন চললেও নিজের ব্যাটিংয়ের তার প্রভাব পড়তে দেননি সূর্য। মারমুখী মেজাজ বজায় রেখে মাত্র ২৮ বলে হাফডজন বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। অন্যদিকে হাত খুলতে শুরু করেছিলেন পান্থও।
কিন্তু এরই মাঝে ৫৭ রানে সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে ম্যাচের অভিমুখ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্যাম কুরান। যদিও মালানের তালুবন্দি করা ক্যাচটি ছিল বেশ বিতর্কিত। তবে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। একথা স্পষ্ট ছিল যে আজ রীতিমতো বড় লক্ষ্য খাড়া করার কথাই ভাবছে ভারত। কিন্তু ব্যাক্তিগত ৩০ রানের মাথায় পান্থকে ফিরিয়ে আরও একবার ভারতকে বড় ধাক্কা দেন আর্চার। তবে আজ রানের গতি পড়তে দেননি শ্রেয়াস এবং হার্দিক। শুরুতেই সূর্য যে টোন সেট করেছিলেন আজ তা বজায় রাখার সম্পূর্ণ চেষ্টা করেন এই জুটি। কিন্তু ১৯ তম ওভারে স্টোকসের দুর্দান্ত ক্যাচে উডের বলে ১১ রানেই সাজঘরে ফেরেন হার্দিক। অন্যদিকে শ্রেয়াস মারমুখী ইনিংস খেললেও মুহুর্মুহু আঘাতে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ভারত। শেষ পর্যন্ত সেই চাপেই ১৮ বলে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হন শ্রেয়াসও। কিন্তু চার মেরে শুরু করলেও একই ওভারে আউট হন সুন্দরও৷ ফলে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রানে ইনিংস শেষ করে ভারত।