দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অবশেষে পাওয়া গিয়েছে সেই প্রত্যাশিত খবর। এএফসির প্রতিযোগিতায় নিয়মকে নকল করে আসন্ন মরশুম থেকে আইএসএলে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে এফএসডিএল। ঠিক হয়েছে, একজন এশিয়ান কোটার ফুটবলার নিয়ে মোট চারজন বিদেশি ফুটবলার ম্যাচ চলাকালীন মাঠের ভিতরে থাকবেন। বিদেশি ফুটবলারের কোটায় মোট ৮ এর বদলে ৬ জনকে সই করানো যাবে। যেখানে একজন এশিয়ান ফুটবলার রাখতেই হবে। আইএসএলের দলগুলি যেহেতু সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছে, তাই এএফসি প্রতিযোগিতায় খেলার নিয়মকানুন মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে।
এএফসির পরামর্শ মতো এই মরশুমেই আরও কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল আইএসএলে। প্রতিটি দলের হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের পর একটি নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২০-২১ মরশুমে করোনা অতিমারিতে সময়ের অভাবে বেশি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব ছিল না বলেই এবার আর নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ম্যাচ করা সম্ভব হয়নি। অনেক দেরিতে লিগ শুরু হওয়ায় কম সংখ্যক ম্যাচ করে তাড়াতাড়ি আইএসএল শেষ করতে হয়েছে। কিন্তু পরের মরশুমে এএফসির নিয়ম মেনেই সব কিছু করতে হবে এফএসডিএলকে। সেই সূত্রেই বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যাও কমাতে হবে। সদ্যসমাপ্ত মরশুম অবধি প্রতিটি দলের প্রথম একাদশে ৫ জন করে ফুটবলার খেলতে পারেন। টুর্নামেন্টের শুরুর বছরগুলিতে এই সংখ্যাটা ছিল ৭।
তবে চারজন বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়মে শেষপর্যন্ত লাভবান হবেন ভারতীয় ফুটবলাররাই। অন্তত ফুটবল বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করেন। সদ্যসমাপ্ত এই মরশুমে ৬ জন ভারতীয় ফুটবলার খেলার সুযোগ পেতেন। পরের মরশুম থেকে সুযোগ পাবেন ৭ জন ফুটবলার। বেশি ভারতীয় ফুটবলার ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন বলে জাতীয় দলেও অপশন বাড়বে কোচের হাতে। তবে, বিদেশি সংখ্যা এতটা কমিয়ে দেওয়ার ফলে যদি খেলার মান পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। আর সেটা আর্থিকভাবে আইএসএল কর্তৃপক্ষকে ধাক্কা দিতে পারে। তবে এই মরশুমে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় ফুটবলাররা যে ফর্ম দেখিয়েছেন, তাতে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।