দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার করাল থাবার মাঝেই দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে রক্ত সংকট৷ মহামারীর এই কঠিন সময়ে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে মিনার্ভা একাডেমির কর্মীরা চন্ডীগড়ের সেক্টর ৩৭ এ রোটারি ও ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করলেন।
২৯ আগস্ট, মিনার্ভা একাডেমি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজের নেতৃত্বে ৩৩ জন মিনার্ভা একাডেমী কর্মী রক্তদান করেন। দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তারা এমনটা করলেন। মহামারীজনিত কারণে দেশজুড়ে রক্তের প্রচুর চাহিদা থাকায় এই ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়েছিল।
কোভিড-১৯ এর কারণে জনজীবন এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, এই মহামারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও প্রচুর ক্ষতি করেছে। এমনিতেই গরমকালে হাসপাতালগুলিতে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয় এবং লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে এই বছর সেভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যায়নি, যার ফলে দেশজুড়ে ব্লাড ব্যাংক গুলিতে রক্তের অভাব দেখা দিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে মিনার্ভা একাডেমির মোট ৩৩ জন কর্মী সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে রক্তদান করেন।
“রক্তদানের মহৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত। রক্তের অভাবই সড়ক দুর্ঘটনা, বড় সার্জারি, জটিল গর্ভাবস্থা, অ্যানিমিয়া, থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়ার মতো রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও আমরা মিনার্ভা একাডেমির সদস্যরা বছরে দু’বার রক্ত দান করে থাকি, কিন্তু এই মহামারী চলাকালীন আমরা নিজেদের কথা দিয়েছি যে আমরা ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র্স হয়ে থাকব এবং আমাদের নাম ওয়ারিয়র্স ধরে রাখার চেষ্টা করব,” মিনার্ভা একাডেমির কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ বলেছেন।
তিনি এই সমস্ত আন্তরিক কাজের সাথে যুক্ত সমস্ত ব্যাক্তি এবং রোটারি ও ব্লাড ব্যাংক সোসাইটির কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।