দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ১৯১১ সালে জন্ম নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এই ডানহাতি পেস বোলার। ১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এলিন অ্যাশের। খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যাশেজ সিরিজ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। ইংল্যান্ড মহিলা দলের হয়ে ৭ টি টেস্ট ম্যাচে ২৩ গড়ে ১০ টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। খেলেছেন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া দল, ‘সিভিল সার্ভিসে উইমেন্স’, ‘মিডলসেক্স উইমেন্স’ এবং ‘সাউথ উইমেন্স’ দলের হয়ে।


২০১৭ সালে আইসিসি একদিনের মহিলা বিশ্বকাপ খেলেছিল মিতালী রাজের ভারত। ওই ফাইনাল ম্যাচে লর্ডসের মাঠে ঐতিহ্যময় বিখ্যাত ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের উদ্বোধন করেছিলেন অ্যাশ। এতো বয়সের কারণে ‘ক্রিকেটার দিদা’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তার মিত্যুতে শোক বার্তা দিয়েছে আইসিসি ও ইসিবি।


আইসিসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘১১০ বছর বয়সে অ্যাশের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। ১৯৩৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল। তিনি একজন অসাধারণ মহিলা, যিনি দুরন্ত জীবনযাপন করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং পরে সব মিলিয়ে সাতটি টেস্টে তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।’


ইসিবি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে,’ইংল্যান্ড ক্রিকেট তাদের পরিবারের এক প্রবীণ সদস্যকে হারাল। চলে গেলেন এলিন অ্যাশ। মৃত্যুকালে সময় হয়েছিল ১১০।’


আরও পড়ুন : বাংলার জাতীয় সংগঠন ‘বাংলা পক্ষে’র হাত ধরে মালদার সুজাপুর পেতে চলেছে তাদের প্রথম কলেজ
শুধু ক্রিকেট নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের গুপ্তচর সংস্থা এম১৬-এর হয়েও কাজ করেছিলেন তিনি। তার পর যুদ্ধ শেষে আবার ফিরে এসেছিলেন ক্রিকেট মাঠে। ২০১৯ সালে এমসিসির আজীবন সাম্মানিক সদস্যপদও পেয়েছিলেন তিনি।
লেখা – তানিয়া তুস সাবা।