দ্য ক্যালকাটা মিরর : ফেডেরারকে ঘিরে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটল লেভার কাপে। নাদাল, জোকোভিচদের কাঁধে চড়ে বিদায় নিলেন ফেডেরার। বিদায়বেলাতেও বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই ‘রাজা’। অঝোরে কাঁদছেন। শক্ত করে জড়িয়ে থাকা স্ত্রী মিরকা একের পর এক চুমু খাচ্ছেন গালে, কপালে। স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও বাবা, মা। পরিবারের পরে সতীর্থ নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদালরা এসে জড়িয়ে ধরলেন। হাত বাড়িয়ে দিলেন কিংবদন্তি রড লেভার। হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন নাদাল। জোকোভিচও বার বার চোখ মুছছিলেন। অ্যান্ডি মারে, মাতেয়ো বেরেত্তিনি, ক্যাসপার রুড, চিচিপাসের মতো তরুণ টেনিস খেলোয়াড়দেরও চোখে জল। রজার ফেডেরার মানে তো শান্ত, নম্র, ভদ্র একজন মানুষ। জয়, হার সব কিছুই নেন হাসি মুখে। টেনিস দুনিয়া ২০ বছর আগের ফেডেরারকে আবার দেখল নতুন করে।
‘স্টিল ফলিং ফর ইউ’ গাইছেন বিখ্যাত শিল্পী এলি গোল্ডিং। উদ্বেল গ্যালারি। শেষ লড়াইয়ে পাশে অন্যতম সেরা প্রতিপক্ষ নাদাল। ২৪ বছরের টেনিস জীবন শেষ করলেন রজার ফেডেরার। টেনিসবিশ্বের ‘রাজা’র বিদায় কালে ঘিরে রয়েছেন রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচ। লেভার কাপে জ্যাক সক ও ফ্রান্সেস টিয়াফো জুটির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। এই জুটি ৪২টি সিঙ্গলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। তবে পারলেন না লেভার কাপের ম্যাচটা জিততে। ২৪ বছর ধরে টেনিস খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফেডেরার জীবনের শেষ ম্যাচে নাদালকে নিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম নয়, লেভার কাপে ইউরোপের হয়ে নেমেছিলেন। সিঙ্গলস নয়, ডাবলস খেলার জন্য নাদালকে সঙ্গী করেন। জীবনের শেষ ম্যাচ খেলে মাইক হাতে লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, “কোনও মতে কেটে গেল, তাই না? আমি খুশি। তোমাদের যেমন বলছিলাম। আমার কোনও দুঃখ নেই।”