দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যূরো : আরও এক কিংবদন্তি ফুটবলারকে হারাল ময়দান। জীবনাবসান তুলসীদাস বলরামের। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দুপুর দুটোয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হুগলির উত্তরপাড়ায় থাকতেন এই দিকপাল ফুটবলার। ভাইপো, ভাইঝিরাই তাঁর দেখাশোনা করতেন। বহুদিন ধরেই লিভারের অসুখে ভুগছিলেন। বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এবার আর ফিরলেন না চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জির এককালীন সতীর্থ। এই তিনজনকে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ বলা হত। দু’জন আগেই চলে গিয়েছেন। পরলোক গমন করলেন তৃতীয়জনও।


কয়েকদিন আগেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ডঃ শোভন সিনহার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলরাম। দুপুরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলার ফুটবলে। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসের কিংবদন্তি তুলসীদাস বলরাম। চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জির সঙ্গে উচ্চারিত হত তাঁর নাম। পদ্মশ্রী না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ ছিল। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে বহু ট্রফি জিতেছেন। কর্তাদের থেকে সেই প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ায় মনে ক্ষোভ ছিল। বেশ কয়েকবছর আগে বলেছিলেন, তাঁর মরদেহ যেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে না যায়। ১৯৫৬ সালে ভারতের অলিম্পিক দলের সদস্য দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। প্রয়াত কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।