দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দ্বিতীয় ম্যাচেই পরাজয়ের মুখ দেখতে হলো মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৬ রানে হারিয়ে রাজস্থান রয়্যালস ২০২০ আইপিএল অভিযান শুরু করলো। রাজস্থানের করা ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রানই করতে পারে।
চেন্নাই টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তরুণ ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালকে সাথে নিয়ে ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। যশস্বী মাত্র ছয় রান করে দীপক চাহারের বলে তুলে মারতে গিয়ে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্যামসন। কেরালার এই ব্যাটসম্যান প্রথম বল থেকেই রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন।


চাহার-লুঙ্গি এনগিডির একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। দলীয় ১৩২ রানের মাথায় স্যামসন ৩২ বলে ৭৪ রান (১ চার, ৯ ছয়) করে আউট হওয়ার পর একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে রাজস্থান। ডেভিড মিলার এক বলও না খেলে রান আউট হয়ে ফিরে যান। রবিন উথাপ্পা, রাহুল তেওয়াটিয়া ও রিয়ান পরাগও অপ্ল রানের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন। যদিও একদিকে অপরাজিত থাকেন স্মিথ। তিনি ৪৭ বলে ৬৯ রান (৪ চার, ৪ ছয়) করে ১৯তম ওভারে স্যাম করনের শিকার হন।
শেষ ওভারে জোফ্রা আর্চার একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলে রাজস্থানকে ২০০ রানের গন্ডি পার করিয়ে দেন। এনগিডির ওভারে চারটি ছয় মেরে ৮ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার। যার সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজস্থান।
চেন্নাইয়ের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার স্যাম করণ। তিনি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া চাহার, এনগিডি ও পীযূষ চাওলা একটি করে উইকেট দখল করেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞ মুরলী বিজয় ও শ্যেন ওয়াটসন চেন্নাইয়ের হয়ে শুরুটা ভালোই করেন। প্রথম উইকেটের জন্য ৫৬ রানের জুটি হয় তাদের মধ্যে। কিন্তু তেওয়াটিয়ার বলে ওয়াটসন ৩৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার পরেই চেন্নাই ইনিংসে ধস নামে। মাত্র রানের ২১ ব্যাবধানে বিজয়, স্যাম করন ও ঋতুরাজ গায়কোওয়ার প্যাভেলিয়ানে ফিরে যান।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও কেদার যাদব উইকেটের পতন রোধ করে চেন্নাইকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন। তবে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান রেট বজায় রাখতে ব্যার্থ হন দুজনেই। যাদব ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হওয়ার পর ধোনি যখন ক্রিজে আসেন তখন চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৩৮ বলে ১০৩ রান।


অতীতে বহুবার চেন্নাইকে এমন অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে জয় এনে দিয়েছিলেন ধোনি। আজও তাঁর থেকে অসাধ্য সাধনের আশা রেখেছিলো সমর্থকরা। কিন্তু এদিন হতাশই করলেন থালা। ধোনির ব্যাট যতটা শান্ত ছিলো ততটাই আক্রমক ছিলেন ডু প্লেসিস, ৩৭ বল খেলে এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান করেন ৭২ রান (১ চার, ৭ ছয়)। তবে ১৯ তম ওভারে আর্চারের বলে তিনি আউট হয়ে যাওয়ার সাথে চেন্নাইয়ের যাবতীয় লড়াইয়ের ইতি ঘটে।
শেষ ওভারে ধোনি তিনটি ছয় মারলেও চেন্নাইকে জয় এনে দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিলো না। লক্ষ্যের থেকে ১৬ রান দূরেই থামে চেন্নাই ইনিংস। ধোনি ১৭ বল খেলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানের হয়ে তেওয়াটিয়া তিনটি এবং গোপাল, আর্চার ও টম করন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
স্যামসন তাঁর বিধ্বংসি ইনিংসের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন।