১৯৭০ সাল। আমার বয়স ১০ পেরিয়ে ১১-র দিকে। পাড়ার এক দাদার সঙ্গে সেই বছর থেকেই কলকাতা ময়দানে মাঝেমধ্যে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়া শুরু। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ফুটবল ম্যাচ দেখাও সেই বছর ওই দাদার সৌজন্যেই। সেটা ২৫ সেপ্টেম্বর, আই এফ এ শিল্ড ফাইনাল। ইরানের শক্তিশালী প্যাস ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অল্প বয়সে দেখা সেই ম্যাচের স্মৃতি বলতে যেটুকু মনে আছে তা হল শেষ সময়ে পরিমল দে-র গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ইডেন থেকে ইস্টবেঙ্গল মাঠ, ময়দান থেকে ধর্মতলা, লাল-হলুদ জনতার বিজয়োৎসব। পরে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় আসার পর ওই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা ফুটবলারদের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে শান্ত মিত্র, কাজল মুখার্জি, সুধীর কর্মকার, মহম্মদ হাবিব, অশোক চ্যাটার্জি, সৈয়দ নঈমুদ্দিন, সমরেশ চৌধুরি, পরিমল দে, প্রশান্ত সিংহ, স্বপন সেনগুপ্ত, পিটার থঙ্গরাজদের কাছে ওই ম্যাচের গল্প শুনেছি।


কাল, ২৫ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচের, স্বাধীনতার পর কোনও বিদেশি দলকে হারিয়ে ভারতীয় কোনও দলের প্রথম আই এফ এ শিল্ড জয়ের ৫০ বছর পূর্তি। ইতিহাস গড়া সেই দলের অনেকেই বেঁচে আছেন, আবার কয়েকজন প্রয়াতও। বিভিন্ন সময়ে ওই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে অসুবিধা হয়নি, ফাইনালে পুরো দলটাই অনবদ্য ফুটবল উপহার দিলেও অন্যদের ছাপিয়ে গিয়েছিলেন ২ জন। সুধীর কর্মকার এবং মহম্মদ হাবিব। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে গোল করে দলকে জিতিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন পরিমল দে। এবং ওই ম্যাচের আগে ও মাঝে কিছু কিছু বিশেষ ঘটনায় যথার্থ অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন শান্ত মিত্র।
১৯৭০-এর ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক শান্ত মিত্র বেঁচে নেই। কিন্তু অনেকবার তাঁর মুখে শুনেছি, কীভাবে তিনি ওই ম্যাচে ফাইনালের নায়ক পরিমল দে-কে খেলিয়েছিলেন। ম্যাচের আগের দিন ক্লাব তাঁবুতে বসে টিম ম্যানেজমেন্টের গড়া দলে প্রথম একাদশে পরিমল দে-র নাম ছিল না। এটা জানতে পেরে পরিমল বলে দেন, ‘তাহলে ষোল জনের দলেও আমাকে রাখবেন না।’ পরিমলের এই বক্তব্য ভালভাবে নিতে পারেননি ক্লাব সচিব নৃপেন দাস। রেগে তিনি পরিমলের নাম কেটে ১৬ জনে ঢুকিয়ে দেন শঙ্কর ব্যানার্জিকে। প্রকাশ্যে তখন কিছু না বললেও অধিনায়ক শান্ত মিত্র ঠিকই করে রেখেছিলেন, পরিমলের নাম ১৬ জনে রাখবেন। ম্যাচের দিন টেন্টে এসে প্রশান্ত সিংহকে আলাদা ডেকে তিনি বলেন, পরিমলের নাম ১৬ জনে রাখতেই হবে। তিনি শঙ্কর মালিকেও বলেন, কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। পরিমলের জার্সি, বুট ইডেনে নিয়ে যেতে।
ইডেনে যাওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল টেন্টের পরিবেশ ছিল বেশ উত্তপ্ত। যার কিছুটা শুরু হয়েছিল অবশ্য আগের দিনই। আর ম্যাচের দিন সকালে অধিনায়ক শান্ত মিত্রর বাড়িতে বেড়েছিল তার উত্তাপ। সেটা ফাইনালের টিকিট নিয়ে। ফুটবলাররা নিজেদের চাহিদা মতো টিকিট পাননি। ম্যাচের দিন সকালে শান্ত মিত্র যখন অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন, তাঁর বাড়িতে এসে হাজির নৃপেন দাস ও নিশীথ ঘোষ। তাঁরা নাকি গিয়েছিলেন, অধিনায়ককে চাঙ্গা করতে। শান্ত ওঁদের বলেন, ‘আমরা তো জেতার জন্যই খেলব। কিন্তু আপনারা ফুটবলারদের জন্য কী করেছেন? এমনিতেই টাকা-পয়সা কম দেন। আবার এই ম্যাচের টিকিটও দিচ্ছেন না। সবাই টিকিট চাইছে, ফুটবলাররা কী করবে?’ কথা বলতে বলতেই শান্ত অফিসের দিকে পা বাড়ান। অফিস থেকে শান্ত সেদিন অনেক আগেই টেন্টে চলে আসেন। টেন্টে তখন কর্মকর্তা বলতে একমাত্র ফুটবল সচিব খোকন সেন। তাঁর সঙ্গেও টিকিট নিয়ে অধিনায়কের একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয়। ফুটবল সচিবের কাছে শান্ত জানতে চান, ‘প্লেয়ার্স কার্ডগুলো কোথায়?’ এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি ফুটবল সচিব। আবার কথা কাটাকাটি। এরপর খোকন সেন তাঁবু ছেড়েই চলে যান। সেদিন আর ইডেন-মুখো হননি ফুটবল সচিব। এসবের কোনও প্রভাব অবশ্য খেলায় পড়েনি। ম্যাচের ফলাফলেই তার প্রমাণ।


২০০৮ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শান্ত মিত্র বলেছিলেন, ‘ম্যাচটা জিততে পারব, ভাবতেই পারিনি। দল হিসেবে সব দিক দিয়েই প্যাস ক্লাব এগিয়ে ছিল। ওদের ফুটবলারদের বড় চেহারা। আগের ম্যাচগুলোয় দেখেছিলাম হেডিং, অ্যান্টিসিপেশন খুব ভাল। ইরানের ফুটবল তখন আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। মনে ছিল, কলকাতার মাঠে ১৯৬৪-তে প্রি-অলিম্পিকের ম্যাচে ইরানের কাছে নাজেহাল হয়েছিল ভারতীয় দল। প্যাস ক্লাবেও ইরানের জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল। আমাদের একটাই ভরসা ছিল ইস্টবেঙ্গলের অতীত। বিদেশি দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলা। খাতাকলমে ওদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের স্পিরিট ছিল তুঙ্গে।’
শান্ত মিত্রকে অনেকবার বলতে শুনেছি, ‘ওই ম্যাচের সেরা ছিল সুধীর কর্মকার। দ্বিতীয় নামটি হাবিব।’ অথচ ম্যাচের আগের দিন হাবিবকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। অনুশীলনেই আসেননি তিনি। নঈম মাঠে এসে বলেছিলেন, ‘ওর শরীর খারাপ’। আসলে এটা ছিল হাবিবেব টাকা আদায়ের চাপ। হাবিব অনুশীলনে আসেননি এটা দেখেই মাঠ থেকে মেসে চলে যান পিটার থঙ্গরাজ ও কাজল মুখার্জি। গিয়ে দেখেন মেসের ঘরেই হালকা অনুশীলন করছেন মহম্মদ হাবিব। ওঁরা হাবিবকে তুলে নিয়ে আসেন মাঠে। অনেক বছর আগে কাজল মুখার্জির মুখেই শুনেছিলাম ‘হাবিবের টাকা আদায়ের চাপ’-এর গল্পটি। হাবিব নাকি সুধীর, কে ছিলেন ওই ম্যাচের সেরা? এই প্রশ্নের জবাব কাজল মুখার্জি একবার দিয়েছিলেন এভাবে, ‘ফুটবল এগার জনের খেলা। জেতা মানে এগার জনের জয়। কমবেশি সবারই অবদান থাকে। ওই ম্যাচেও তাই ছিল। কে ম্যাচের সেরা, আলাদাভাবে ভেবে দেখিনি।’
স্বপন সেনগুপ্ত অবশ্য স্পস্টভাবেই বারবার বলে এসেছেন, ম্যাচের সেরা ছিলেন সুধীর কর্মকার। এই তো একদিন আগেও স্বপন বললেন, ‘আমাদের পুরো টিমটাই ভাল খেলেছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে ম্যাচে একজন তো সেরা থাকেই। সেই নামটা অবশ্যই সুধীর কর্মকার।’ ৫০ বছর পরও ওই ম্যাচের স্মৃতি স্বপনের কাছে টাটকা। বলছিলেন, ‘ম্যাচটা এখনও ভুলতে পারিনি। শিল্ড ফাইনাল নিয়ে ওরকম উন্মাদনা আর কখনও দেখিনি।’
ওই ম্যাচে কে সেরা ছিলেন, তা অবশ্য কখনও ভেবে দেখেননি সুধীর কর্মকার। ফোনে তিনি বললেন, ‘কে সেরা ছিল, পঞ্চাশ বছর আগেও ভাবিনি, এখনও ভাবি না। আমরা জিতেছিলাম, ওটাই ছিল আমার কাছে বড় ব্যাপার। খেলতে নামতাম নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। নিজের সেরাটা দিয়ে খেলব, জিতব, এটাই ছিল মনোভাব।’
ওই ম্যাচের আগের একটি ঘটনা বললেন সুধীর, ‘‘টেন্ট থেকে বেরিয়ে ইডেনে যাওয়ার আগে পিটার থঙ্গরাজ, শান্ত মিত্র, প্রশান্ত সিংহের মতো সিনিয়ররা আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তুই ভাল খেললেই আমরা আজ জিতব। ওদের লেফট আউটকে তুই আটকে দিতে পারলেই টিমটা আটকে যাবে।’ আমি খুশি হয়েছিলাম সিনিয়রদের ওই ভরসার মর্যাদা দিতে পেরে।’’


সুধীরের খেলা নিয়ে পরের দিন ‘যুগান্তর’ লিখেছিল, ‘... জান দিতে রাজী ছিলেন সুধীর কর্মকারও। মাথায় এতটুকু। কিন্তু প্রাণশক্তি ও বিচক্ষণতায় সুধীরের ভূমিকা যেন এতোখানি। সত্যিই মাঠে এই তরুণের অস্তিত্ব ছিল কী আশ্চর্যজনকই না!’
মহম্মদ হাবিব এখন হায়দরাবাদের বাড়িতে। অনেকদিন ধরেই শরীর ঠিক নেই। বুধবার দুপুরে ফোনে জড়ানো গলায় আস্তে আস্তে যা বললেন তাতে বোঝা গেল ৫০ বছর আগের অনেক কিছুই এখন আর সেভাবে মনে নেই। কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন। তখন ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠতে বলেছিলেন, ‘সেদিন একটা দল হিসেবেই আমরা খুব ভাল খেলেছিলাম। সবাই চাঙ্গা ছিলাম। কিন্তু সবার সেরা ছিল সুধীর (কর্মকার)।’ আর আক্ষেপ করেছিলেন, ‘এখনও একটু খারাপ লাগে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে না পারায়।’
খেলা শেষ হতে তখন মিনিট দুয়েক বাকি। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মহম্মদ হাবিবকে। কে নামবেন? গল্পের মতো শোনালেও এটাই সত্যি, নেমেছিলেন পরিমল দে। যিনি জানতেন ১৬ জনে তাঁর নাম নেই। প্লেয়ার লিস্ট রেফারির কাছে জমা দেওয়ার সময় অধিনায়ক শান্ত মিত্র আগের দিনের বাছা ১৬ জনের থেকে শঙ্কর ব্যানার্জির নাম বাদ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন পরিমলের নাম। ইডেনে পরিমল খেলার পোশাক পরেও যাননি। যা নিয়ে গিয়েছিলেন শঙ্কর মালি। অধিনায়কের মাঠে নামার নির্দেশে অবাকই হয়েছিলেন পরিমল, সমর্থকদের প্রিয় ‘জংলা’। কিন্তু তখন আর হাতে সময় নেই। শান্তকে শুধু বলেছিলেন , ‘আমি তো বুট আনিনি।’ ওই সময়ই শঙ্কর মালি বুট, জার্সি এগিয়ে দেন পরিমলের দিকে। কোনওভাবে বুট, জার্সি পরে মাঠে নেমে পড়েন পরিমল। খেলা শেষ হওয়ার তিরিশ সেকেন্ড আগে স্বপন সেনগুপ্তর মাইনাস থেকে বল পেয়ে শট নিতেই গোল। ওই একটা গোলেই ম্যাচের নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন।
পরিমলের ওই গোল নিয়ে ‘যুগান্তর’ লিখেছিল, ‘...আহত হাবিব স্ট্রেচারে বাহিত অবস্থায় মাঠ ছাড়তেই মাঠে ঢুকতে ডাক পড়লো পরিমলের। বড় জোর মিনিট দুয়েক খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, সেই ফাঁকেই কাজের কাজটি গুছিয়ে নিলেন। কাজের কাজ মানে দিনের একমাত্র গোল। ... এত কম সময় খেলে এত বড় এক কান্ডের নায়ক সাজতে আর কেউ কি পেরেছেন? কে জানে! গোলটি আবার হয়েছে বাড়তি সময়ে।’
এই বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনাবসান হয়েছে অশোক চ্যাটার্জির। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে দেওয়া তাঁর একটি ইন্টারভিউ পড়ছিলাম। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘নায়ক হতে পারতাম আমিও। হাবিবের একটা পাস থেকে গোল করতে না পারাটা ছিল অমার্জনীয় অপরাধ। পুসটা ঠিক মতো করতে পারিনি। জংলা (পরিমল) গোল করে বাঁচিয়েছিল। ফুটবলজীবনে ওরকম আনন্দ আর কখনও পাইনি।.... জয়ের পর ইডেন থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছিল। ইডেন থেকে ইস্টবেঙ্গল টেন্ট পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। সমর্থকরা বলেছিলেন, তাঁদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে!’
সমর্থকদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে নয়, শিল্ড জয়ী তারকারা ইডেন থেকে তাঁবুতে ফিরেছিলেন সমর্থকদের কাঁধে চড়েই। সবচেয়ে কাহিল অবস্থা হয়েছিল অবশ্যই পরিমল দে-র। তাঁকে ঘিরে শহর জুড়ে উন্মাদনা ছিল পরের কয়েকদিনও। বছরের পর বছর পরিমল দে গর্বের সঙ্গে করে গিয়েছেন ওই গোলের গল্প। কিন্তু এখন? সত্তরের শিল্ডের সেই নায়ক এখন ভাল নেই। অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। প্রায় বছর চারেক বাড়িতেই বন্দি। গত বছর মাঝ এপ্রিলে একবার ওঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলাম একটা লেখা করার জন্য। তখনই দেখেছিলাম, সেই ফাইনালের কথা উঠতেই যেন স্মৃতিশক্তি একটু ফিরে পেলেন। যেন একটু চাঙ্গা হয়ে উঠলেন। সেটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য। আবার কথার বাঁধন হারিয়ে ফেলা। কয়েকদিন আগেও শুনলাম, অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
যাঁর হাত ধরে ইডেনের সেই ঐতিহাসিক শিল্ড ফাইনাল দেখতে যাওয়া, আমার পাড়ার সেই কেল্টুদার বয়স এখন ৭৫ পেরিয়ে গিয়েছে। শক্তপোক্ত দিব্যি আছেন। কিছুটা অনিয়মিত হলেও এখনও মাঠে যান ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে। যাঁর কাছে মোহনবাগানের উনিশশো এগারোর জয় থেকে ইস্টবেঙ্গলের সত্তরের শিল্ড জয়ের গুরুত্ব কোনও ভাবেই কম নয়। এই তো আজ সকালেই বলছিলেন, ‘ওদের ওটা যদি স্বাধীনতার আগের ঐতিহাসিক জয় হয়, তাহলে আমাদের সত্তরের জয়টা স্বাধীনতার পরের ঐতিহাসিক জয়। ওদের এগারোর জয়টাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটা রাজনীতি।’
হয়ত আরও অনেক লাল-হলুদ সমর্থকও সেরকমই মনে করেন।