দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুই প্রধানে ইনভেস্টর আসলেও, মহামেডানে এখনো দেখা নেই কোনো লগ্নিকারী সংস্থার। কথা এগিয়েও পিছিয়ে এলো কলকাতার তৃতীয় প্রধান। বলা বাহুল্য নব নিযুক্ত কর্মকর্তাগন কিছুটা চাপে পড়েই ইনভেস্টর ঘোষনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
এর কারণ হিসাবে উঠে আসে, ক্লাবেরই কিছু কর্মকর্তারা চান না ক্লাবে ইনভেস্টর আসুক। তাদের মতে এতে নাকি ক্লাব বিক্রি হয়ে যাবে।
কিন্তু আধুনিক ফুটবলে ইনভেস্টর এখন বিশ্বফুটবল থেকে সব জায়গায় দৃশ্যমান। স্বভাতই এক শ্রেণীর কর্তাদের এই একগুঁয়েমির প্রতিবাদে জুম্মা বারে দুপুর থেকেই মহামেডান টেন্ট সরগরম হয়ে ওঠে।
এছাড়াও উল্লেখ্য যে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সিবিআই জেরার কবলে ওয়াসিম আক্রাম। সিবিআই পুরনো তথ্য জোগাড়ে বেশ কয়েকবার ওয়াসিম আক্রামকে জেরা করে, স্বভাতই ঘরে-বাইরে জোড়া ফলার আক্রমনে নাজেহাল মহামেডানের নতুন সচিব।
এরই মধ্যে সমর্থকদের কানে খবর আসে যে, ওয়াসিম আক্রাম নাকি ইনভেস্টর আর সিবিআই নিয়ে বিরক্ত হয়ে আজ কার্যকরী কমিটির সভায় পদত্যাগ করতে পারেন!
ব্যস! আর যায় কোথায়। আগুনের ফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ। যা এদিন আছড়ে পড়ে ক্লাব প্রাঙ্গনে। প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক নানা রকম প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে হাজির হন দুপুর বেলাতে।
যেটাতে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কর্তাদের অপসারণ দাবি করা হয়। এই বিক্ষোভ মিছিলে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন ব্ল্যাক প্যান্থার্স ফ্যান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রহিম আলি।
এছাড়া, ব্ল্যাক প্যান্থার্স-এর সামসুর রহমান, নাজিবুল,সাহারুল, নাসিমদের নেতৃত্বে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শয়ে শয়ে সমর্থক। ব্ল্যাক প্যান্থার্স এর সাথে কলকাতা ফ্যান ক্লাবের আসলাম, নৌশাদরাও প্রতিবাদে সামিল হন।
তবে,আজকের মিটিংয়ে এখনো কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল আবারও কোর কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। ওয়াসিম আক্রাম যদিও আশ্বাস দেন যে, ক্লাবে ইনভেস্টর আসছেই। সমর্থকদের ধৈর্য্য ধরার কথাও তিনি বলেন। এখন দেখার সমর্থকদের এই প্রতিবাদ কোনো পট পরিবর্তন করতে পারে কিনা!
দ্য ক্যালকাটা মিরর/মোস্তাফিজুর রহমান