দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের আইপিএল অভিযানের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচেই সুপার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে যায় অনিল কুম্বলের ছেলেরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় পাঞ্জাব। রবিবার তারা তৃতীয় ম্যাচে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখ হবে, যারা প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস কে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে। তাই এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে দুই তরফেই যে মরিয়া লড়াই হবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দুবাই ও আবু ধাবির তুলনায় শারজাহর মাঠ বেশ ছোটো। তবে বাকি দুই ভেন্যুর তুলনায় এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। যেখানে কে এল রাহুলদের সুযোগ থাকবে বেশি। কারণ পাঞ্জাব দলে একাধিক বিগ হিটার রয়েছেন। রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল,গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা নিজের দিনে একাই পাঞ্জাবকে জয় এনে দিতে সক্ষম। রাজস্থান নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে না পারলে শারজাহর ব্যাটিং স্বর্গে পাঞ্জাবকে আটকে রাখা কঠিন হবে।
পাঞ্জাব গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে দাপটের সাথে হারিয়েছে। সেই দলে তাঁদের দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে অফ ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরানের জায়গায় ক্রিস গেইলকে সুযোগ দিতে পারে পাঞ্জাব। গেইল খেললে তিনি রাহুলের সাথে ওপেন করবেন ও মায়াঙ্ক আসবেন তিন নাম্বারে।
বোলিং বিভাগে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। মোহাম্মদ সামি ও শেলডন কট্রেল যেখানে নতুন বলে উইকেট তুলছেন। মাঝের ওভার গুলোতে রবি বিষ্ণই ও মুরুগণ অশ্বিন স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন।
অন্যদিকে রাজস্থান দলের সব থেকে বড় দুর্বলতা হলো তাঁদের মিডল অর্ডার। গত ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বাদে ব্যাট হাতে সব চেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জোফরা আর্চার। শেষের দিকে যার ৮ বলে ২৭ রানের ইনিংসের সুবাদে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ২১৫ রানের পাহাড় প্রমান স্কোর তুলতে সক্ষম হয়েছিল আইপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়নরা। মিডল অর্ডারে রবিন উথাপ্পা আরও দায়িত্বশীল হলে ভালো করবেন।
কোয়ারেন্টিন শেষ করে জস বাটলার ডেভিড মিলারের স্থানে প্রথম একাদশে আসতে পারেন। তবে তিনি কোথায় ব্যাটিং করেন সেটা দেখার বিষয় হবে। গত ম্যাচে ৬৯ রান করা স্মিথ এদিনও ওপেন করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তরুণ ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালের জায়গায় বাটলার ওপেন করতে পারেন।
রাজস্থান যেহেতু শারজাহর মাঠে ইতিমধ্যেই একটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তাই তারা পিচ নিয়ে প্রতিপক্ষের থেকে বেশি ওয়াকিবহাল। পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন আর্চার। তার সাথে থাকবেন টম করন ও জয়দেব উনাদকাত। দুজনেরই বল হাতে গত ম্যাচ ভালো যায় নি, তবে রাজস্থান থিঙ্ক ট্যাংক জয়ী দলে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে চাইবে না। স্পিন বোলিংয়ের দায়িত্ব থাকবে শ্রেয়াস গোপাল ও রাহুল তেওয়াটিয়ার কাঁধে।
শারজাহর পিচ দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ মন্থর হয়ে পরে তাই টসে জয়ী দল এখানে আগে ব্যাটিং করতে চাইবে।