দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আইপিএলে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এমত অবস্থায় আগামীকাল আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে নামবে তারা। এই ম্যাচের আগে হায়দ্রাবাদের চিন্তা ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে।
হায়দ্রাবাদকে আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক দল ধরা হলেও, প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। দল হিসেবে খোড়াচ্ছে হায়দ্রাবাদ। ব্যাটসম্যানরা বড় জুটি বা বড় স্কোর করতে ব্যর্থ। বোলাররাও ব্যর্থ উইকেট শিকারে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য সাধারণত পাওয়ার প্লে আর ডেথ ওভারে দ্রুত রান তোলা প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বা ডেথ ওভারে রান তুলতে পারেননি হায়দ্রাবাদ ব্যাটসম্যানরা। তাতে বড় সংগ্রহ পাননি ডেভিড ওয়ার্নার-মনীষ পান্ডেরা।
ওয়ার্নার-জনি বেয়ারস্ট্রো পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারায় বড় সংগ্রহের ভিত পায়নি হায়দ্রাবাদ। দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে একমাত্র ধারাবাহিক ছিলেন মনীষ পান্ডে। দুই ম্যাচে তার রান ছিল যথাক্রমে – ৪৩ ও ৫১ । তবে বেশ ধীরগতিতে রান তোলেন তিনি। অনেকের মতে, গত ম্যাচে পান্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহার মন্থরগতির ব্যাটিংয়ের জন্যই বড় টার্গেট ছুড়ে দিতে পারেনি হায়দ্রাবাদ। যে কারণে ১৪৩ রানের টার্গেট সহজভাবেই পার করেছে কেকেআর। এর জন্য ঋদ্ধিমানকেই বেশি দুষছেন সবাই।
গত দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। গত ম্যাচে প্রভাব ফেলতে ব্যার্থ মহাম্মদ নবীকে বসিয়ে কেন উইলিয়ামসনকে ব্যাট হাতে নামতে দেখা যেতেই পারে।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং বিভাগেও যথেষ্ট মেরামতির প্রয়োজন নিজামের শহরের দলটির। রশিদ খান ছাড়া গত দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে তেমন আতঙ্ক ছড়াতে পারেননি অন্য বোলাররা। দুই ম্যাচেই কোনো উইকেট পাননি ভুবনেশ্বর কুমার। ইকোনমির দিক দিয়েও খারাপ হাল। থাংগারাসু নটরজন-খালিল আহমেদরাও দেদার রান লুটিয়েছেন। আজকের ম্যাচেও তাই দিল্লির শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ ভাঙতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে রশিদকে।
যে বোলিং গত মরসুম পর্যন্তও হায়দ্রাবাদের সব থেকে বড় শক্তি ছিলো। সেই হায়দ্রাবাদ বোলারদের নির্বিষ হয়ে পড়া ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। দিল্লি ম্যাচের ম্যাচের আগে দলের এই ‘রোগ’ সারানোই ওয়ার্নারের লক্ষ্য। বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য দলে আনা হতে পারে জোরে বোলার সিদ্ধার্থ কউলকে। সেক্ষেত্রে অলরাউন্ডার অভিষেক শর্মা বাদ যেতে পারেন।
অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ জিতে দিল্লি এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই এখনো পর্যন্ত দারুন ফর্ম দেখিয়েছে রিকি পন্টিংয়ের ছেলেরা।
একদিকে যেমন পৃথ্বী শ, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পান্তরা ব্যাট হাতে ছন্দে রয়েছেন। তেমনি বল হাতে প্রতিপক্ষের ঘুম কেঁড়ে নিচ্ছেন কাগিসো রাবাডা।
গত ম্যাচে চেন্নাইকে দাপটের সাথে হারিয়েছে দিল্লি। সেই দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। অফ ফর্মে থাকা সিমরন হেটমায়ারকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী টিম ম্যানেজমেন্ট। চোট কাটিয়ে ইশান্ত শর্মা দলে আসতে পারেন। তিনি আসলে বাদ পড়বেন আভেশ খান।
শিখর ধাওয়ান দ্বিতীয় ম্য়াচে ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিলেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। তৃতীয় ম্যাচের ধাওয়ানের ব্যাটে বড় রান দেখার অপেক্ষায় রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আবু ধাবির পিচ দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ মন্থর হয়ে পরে তাই টসে জয়ী দল এখানে আগে ব্যাটিং করতে চাইবে।
দ্য ক্যালকাটা মিরর/অজয়