দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: চলতি আইপিএলে জয়ের হ্যাট্রিকের লক্ষ্যে এদিন মাঠে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস, কিন্তু হলো ঠিক উল্টোটা রাশিদ খানের অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ১৫ রানে ম্যাচ জিতে মরসুমের প্রথম জয় তুলে নিলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
প্রথমে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদ ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দিল্লি ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানই তুলতে পারে। রাশিদ খান ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন শ্রেয়াস আইয়ার, শিখর ধাওয়ান ও ঋষভ পান্তের মহা মূল্যবান উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনিই হয়েছেন।


মঙ্গলবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। হায়দ্রাবাদ ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্ট্রো। শুরুটা সাবধানী করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৫০ রান। তবে রান তোলার গতিটা ছিল মন্থর। সেটা বাড়াতে গিয়েই দলীয় ৭৭ রানে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। ফেরার আগে ৩৩ বলে ৩ টি চার ও ২ টি ছয়ের সাহায্যে ৪৫ রান করেন তিনি।
ওয়ানডাউনে নামা মনীষ পান্ডেকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বেয়ারস্ট্রো। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি পান্ডে। মাত্র তিন রান করে অমিত মিশ্রের শিকার হন তিনি।
এ পরিস্থিতিতেও খোলসবন্দি থাকেন বেয়ারস্ট্রো। তা থেকে বের হতে গিয়ে কাগিসো রাবাডার শিকারে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে ৪৮ বলে ২ চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। শেষের দিকে কেন উইলিয়ামসন চালিয়ে খেলায় ১৬২ রানের ফাইটিং স্কোরে পায় হায়দ্রাবাদ। মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলা কিউয়ি অধিনায়ক ২৬ বল খেলে ৫ টি চারের সহযোগে ৪১ রান করেন। দিল্লির হয়ে মিশ্র ও রাবাডা ২ টি করে উইকেট পান।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লি। প্রথম ওভারেই গত ম্যাচের নায়ক পৃথ্বী শ-কে সাজঘরে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। মাত্র ২ রান করে ফিরে যাওয়া পৃথ্বীর পর দলের হাল ধরেছিলেন ধাওয়ান-শ্রেয়াস আইয়ার জুটি। কিন্তু এই জুটিও ক্রিজে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৪২ রানের মাথায় দারুণ শুরুর পর আইয়ারও ফিরে যান ১৭ রান করে।
এরপর পান্তকে নিয়ে জুটি গড়েন ধাওয়ান। কিন্তু এরপর দলীয় ৬২ রানে ধাওয়ানও ফিরে গেলে হায়দ্রাবাদ শিবিরে জয়ের স্বপ্ন জাগে।
সিমরন হেটমায়ার ক্রিজে এসে দুটি ছয় মেরে দিল্লিকে লড়াইয়ে রাখলেও ১২ বলে ২১ করে ভুবনেশ্বরের বলে পান্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। দিল্লি স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১০৪। তখনও আশা ছিল। কিন্তু ক্রিজে থাকা পান্ত ২৭ বলে ২৮ রান করে রাশিদ খানের ফাঁদে পড়তেই দিল্লির সব আশা শেষ হয়ে যায়।
এরপর মার্কাস স্টইনিস-অক্ষর প্যাটেলরা খুব বেশি এগোতে পারেননি। ১৪৭ রানে থামে দিল্লি ইনিংস।
দ্য ক্যালকাটা মিরর/অজয়