দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র তিন রান করে প্যাট কাম্মিনসের বলে উইকেটের পিছনে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।
শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার আগেই রয়্যালস শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শিবম মাভি। টপ অর্ডারে রয়্যালসদের বড় ভরসা সঞ্জু স্যামসন ৮ রান করে সুনীল নারিনের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর রবিন উথাপ্পাকে নিয়ে জুটি গড়েন জস বাটলার। কিন্তু দলীয় ৩৯ রানে দারুণ শুরুর পর ২১ রান করে বাটলারও ফিরে গেলে কেকেআর শিবিরে জয়ের স্বপ্ন জাগে।
এই প্রতিবেদন লেখা সময় রয়্যালসরা সাত ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে ৪১ রান করেছে। ক্রিজে উথাপ্পার সাথে রয়েছেন রিহান পরাগ।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যালস অধিনায়ক স্মিথ। কেকেআর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে গত ম্যাচের নায়ক গিলের সাথে নামেন নারিন। তবে রান তোলার গতিটা ছিল মন্থর। সেটা বাড়াতে গিয়েই দলীয় ৩৬ রানে জয়দেব উনাদকাটের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান নারিন। ফেরার আগে ১৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ১৫ রান করেন তিনি।
নারিন ফিরে যাওয়ার দলের পর হাল ধরেছিলেন গিল-নিতিশ রাণা জুটি। কিন্তু এই জুটিও ক্রিজে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৮২ রানের মাথায় দারুণ শুরুর পর রাণা ২২ রান করে রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে ফিরে যান।
স্লো-গতিতে রান ওঠায় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন এনে আন্দ্রে রাসেলকে সেকেন্ডডাউনে নামানো হয়। তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন গিল। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি গিল। খানিক পরই ৩৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৪৭ রান করে জোফ্রা আর্চারের শিকার হন এই তরুণ ওপেনার ব্যাটসম্যান।
তার পর ক্রিজে আসেন কার্তিক। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি তিনিও। মাত্র এক রান করে আর্চারের বলে উইকেটের পিছনে বাটলারের গ্লাভস বন্দি হয়ে ফেরেন নাইট অধিনায়ক।
রাসেল কিছু বড় শট খেলে ঝড়ের পূর্বাভাস দিলেও তরুণ বোলার অঙ্কিত রাজপুতের বলে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পরেন এই জ্যামাইকান অলরাউন্ডার। ফেরার আগে ১৪ বলে ৩ ছয়ের সাহায্যে ২৪ রান করেন তিনি।
শেষের দিকে ইয়ন মরগ্যান চালিয়ে খেলায় ১৭৪ রানের স্কোরে পায় কেকেআর। রয়্যালসদের হয়ে হয়ে বল হাতে আর্চার সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট পান। এছাড়া উনাদকাট, তেওয়াটিয়া, রাজপুত ও টম করন একটি করে উইকেট লাভ করেন।