দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : টসে হেরে পাঞ্জাব অধিনায়ক রাহুলের আমন্ত্রনে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলেছিল মুম্বাই।দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের দুরন্ত অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। শেষের দিকে হার্দিক পান্ডের ১১ বলে ৩০ ও গত ম্যাচের ট্রাজিক নায়ক কিরন পোলার্ডের মাত্র ২০ বলে বিধ্বংসী ৪৭ রানের ইনিংসের সৌজন্যে এই বিশাল টার্গেট সেট করে মুম্বাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল পাঞ্জাব। গতদিনের মতই মারমুখী ভঙ্গিতে মাত্র ১৮ বলে ৩ টি চারের সাহায্যে ২৫ রান তুলে ফেলেছিলেন মায়াঙ্ক। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই যশপ্রীত বুমরাহের দ্রুতগতির ইনস্যুইং বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যেতে হয় তাকে।ভেঙে পড়ে পাঞ্জাবের ‘হেভিওয়েট’ গোড়াপত্তনকারী জুটি।তবে তখনও পর্যন্ত কিংস ইলেভেন ফ্যানেদের ভরসা ছিলেন কে এল রাহুল। কিন্তু ৫৮ রানের দলগত স্কোরের মাথায় প্যাডেল স্যুইপ করতে গিয়ে রাহুল চাহারের বলে বোল্ড হন তিনিও।
এরপরেই সমস্যার সম্মুখীন হয় পাঞ্জাবের অপরিক্ষীত মিডিল অর্ডার। করুন নায়ার আউট হয়েছিলেন আগেই তেমন ফর্ম দেখাতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। মাত্র ২৭ বলে ৩টি ছয় ২ চারের সাহায্যে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নিকোলাস পুরান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও প্যাটিনসনের বলে উইকেট কিপার ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকেও।কিছুক্ষন পরেই চাপের মুখে বড় শট খেলতে গিয়ে চাহারের বলে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
এরপরেই সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে কিংস ইলেভেনের ব্যাটিং। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে তারা। রোহিত শর্মার অসাধারণ অধিনায়কত্বের দৌলতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪৮ রানের সহজ জয় তুলে নেয় মুম্বাই৷ বিশেষ করে পাঞ্জাবের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের সামনে আজ নিজের বোলারদের যেভাবে ব্যবহার করেন রোহিত তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।