দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আই লিগ কোয়ালিফায়ারে গাঢ়ওয়াল এফসি-র বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুনমুন টিমোথি লুগুনের সংযোজিত সময়ে করা একমাত্র গোলে মহামেডান স্পোর্টিং কষ্টার্জিত জয় পেলেও দলের খেলায় অসন্তুষ্ট নন টেকনিকাল ডাইরেক্টর দীপেন্দু বিশ্বাস।
ম্যাচের পরে তিনি দ্য ক্যালকাটা মিররের ‘আই লিগের আড্ডা’ শো-তে জানান, “অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। এটা মাথায় রাখতে হবে সাত মাস পর ছেলেরা প্রথম প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচ খেলছে। একটু জড়তা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে পরের ম্যাচের আগে ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিতে হবে।”
ম্যাচটা যে বেশ কঠিন ছিল, তা স্বীকার করে নিয়ে এই প্রাক্তন স্ট্রাইকার বলেন, “ গাঢ়ওয়াল এফসি ড্র করার লক্ষ্যে খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সময় নষ্টের ফুটবল খেলছিল ওরা। ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। আমরা যে সংযোজিত সময়ে এক গোল করে জিতেছি, এটাই অনেক। এই ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল তিন পয়েন্ট তোলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পরে এ বার পরের ম্যাচ নিয়ে প্রস্তুতি শুরুর পালা।”
দ্বিতীয়ার্ধে উইলিস প্লাজার পেনাল্টি নষ্টের প্রসঙ্গে দীপেন্দু বলেন, “প্লাজা আজকের ম্যাচে খুবই পরিশ্রম করেছে। আজ যে সুযোগগুলো সে পেয়েছিলো সেগুলো থেকে গোল হয়ে গেলে সবাই অন্য কথা বলতো। আমি নিজে একজন স্ট্রাইকার হয়ে বলতে পারি সব স্ট্রাইকারদের এমন দিন আসে যেদিন আপনি সব কিছু করার পরেও গোল পান না। প্লাজা একজন খুবই অভিজ্ঞ ফুটবলার আমি নিশ্চিত আগামী ম্যাচেই সে জ্বলে উঠবে।”
অন্য দিকে গাঢ়ওয়াল এফসি-র সহকারী কোচ অনুপ সিং মনে করেন ম্যাচটা গোলশূন্য হওয়া উচিত ছিল, তিনি বলেন “আমার মনে হয় না কৌশলের দিক থেকে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করেছে দুই দলই। ম্যাচটার ফল আসলে হওয়া উচিত ছিল ০-০। কিন্তু ওরা একটা ভাল গোল করে দেয়। সে জন্য ওদের অভিনন্দন। ফুটবল এ রকমই। যাই ফল হোক না কেন, মেনে নিতে হয়। এখন আমাদের পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “মহামেডান যে ভাল খেলবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। ওদের দলে ভাল খেলোয়াড় আছে। সেই মতো আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। দুর্ভাগ্য যে আমরা হেরে গেলাম।”