দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইপিএলের ডাবল হেডারের প্রথম পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতায় এবং হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মর্গ্যানের ৩৪ এবং দীনেশ কার্তিকের ২৯ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংসের দৌলতের ১৬৩ রানের সম্মানজনক স্কোর খাড়া করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজ ওপেনিংয়ে বড় পরিবর্তন করে হায়দ্রাবাদ। বেয়ারস্টোর সাথে ওয়ার্নারের বদলে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন কেন উইলিয়ামসন। মূলত হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকার কারণেই পিঞ্চ হিটার হিসেবে আগে পাঠানো হয় তাকে। পিচের গোলকধাঁধাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে মারমুখী শুরু করেন দুজনেই। মাঠের সমস্ত দিকে সুন্দর শট খেলে মাত্র ৩৬ বলেই সুন্দর ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তারা। চোটের কারণে খুচরো রানে তৎপরতা না দেখাতে পারলেও লকি ফার্গুসনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে অবধি ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস উপহার দেন উইলিয়ামসন।


বেশিক্ষন ক্রীজে স্থায়ী হতে পারেননি তিন নম্বরে আসা প্রিয়ম গর্গও।নবম ওভারে মাত্র ৪ রানে ফার্গুসনের বলেই বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।পরের ওভারে আবার আঘাত পায় হায়দ্রাবাদ শিবির। ২৮ বলে ৭ টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হয়ে ফিরে যান অভিজ্ঞ জনি বেয়ারস্টো। ফলত সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং মনীশ পান্ডের কাঁধে।
আরও পড়ুনঃ আবুধাবিতে অনুকূল নয় পিচ, কার্তিকের চেষ্টায় ১৬৩ রানে পৌঁছালো কলকাতা
কিন্তু আজ বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মরশুমে প্রথমবার মাঠে নামা লকি ফার্গুসন।দুর্দান্ত ইয়র্কারে মনীশ পান্ডেকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৬ তম ওভারে বিজয় শংকরকেও ফিরিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। ফলে চাপ অনেকটাই বেড়ে যায় ওয়ার্নারের উপর। কয়েকটি বাউন্ডারি পেলেও আজ ক্রীজে তেমন সক্রিয় হতে পারেনি তিনি।
কিন্তু অন্য প্রান্তে কিছু বড় শট খেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তরুণ আব্দুল সামাদ। ১৯ তম ওভারে খোলস ছেড়ে বেরোতে শুরু করেন ওয়ার্নারও।কিন্তু শিভম মাভির শেষ বলে ফার্গুসনের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের জেরে আউট হয়ে ফিরতে হয় আব্দুল সামাদকে।


শেষ ওভারে চোট আক্রান্ত রাসেলের বলে পরপর ৩টি চার তুলে নিয়ে ম্যাচের অভিমুখ বদলে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত তার সুন্দর ৪৭ রানের ইনিংসের জেরেই ম্যাচ সুপার ওভারে পৌঁছে দেয় হায়দ্রাবাদ।
সুপার ওভারে বোলিং করতে নেমে প্রথম বলেই ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নেন লকি ফার্গুসন। তৃতীয় বলে তার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সামাদও।ফলের সুপার ওভারে মাত্র ৩ রানের টার্গেট পায় কলকাতা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন মর্গ্যান এবং দীনেশ কার্তিক।