দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের মহারণে দুই পয়েন্ট তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।গুরুত্বপূর্ণ টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
তবে পাঞ্জাব বোলিংয়ের দৌরাত্ম্যে আজও ব্যর্থ মনোরথ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পৃথ্বী শ। অন্যদিকে শিখর ধাওয়ান দিল্লিকে ভালো শুরু দিলেও তার সাথে আজ দাঁড়াতে পারেননি কেউই।১২ বলে ১৪ রান করে মুরুগানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও।চোটের পর মাঠে নেমে ছন্দে দেখা যায়নি পান্থকেও। নিজের ইনিংস গড়তে আজ বড় বেশি সময় নিয়ে নেন তিনি। ম্যাক্সওয়েলের বলে আউট হবার আগে অবধি ২০ বলে তার সংগ্রহ মাত্র ১৪ রান। তবে শিখর ধাওয়ান আজ যেন খেলছিলেন অন্য মাঠে। তার সামনে দাঁড়াতে পারেনি মহম্মদ শামি, জিমি নাসিম, মুরুগানের মতো অভিজ্ঞ বোলাররাও। অন্য প্রান্ত থেকে একটু সহায়তা না পেলেও ওয়ান ম্যান আর্মির মত মাত্র ৬১ বলে ১২ টি চার ও ৩ টি দুর্দান্ত ছয়ের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এই নিয়ে পরপর দু ম্যাচে দুটি শতরান করে রেকর্ড করলেন গব্বর।
কিন্তু অন্য প্রান্তে আজ রানের গতির রুখে দিতে পেরেছিলেন পাঞ্জাবের বোলাররা। স্টয়নিশ এবং হেটমায়ারের মত গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে আজ দিল্লিকে আরো বিপাকে ফেলে দেন শামি।ফলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৬৪ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। পাঞ্জাবের হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট তুলে নেন মহম্মদ শামি।
আরও পড়ুনঃ আজ নর্থ ইন্ডিয়ান ডার্বি, মুখোমুখি দিল্লি-পাঞ্জাব, দুবাইতে গেইল বনাম শিখর দ্বৈরথ
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বড় ধাক্কা খায় পাঞ্জাব শিবির। আক্সার প্যাটেলের বলে মাত্র ১৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় অধিনায়ক কে এল রাহুলকে। তবে প্রথম থেকেই আজ মেজাজে ছিলেন গেইল।পঞ্চম ওভারে তুষার দেশপান্ডের বলে ২৬ রান তুলে নেন তিনি। কিন্তু পরের ওভারেই ধীর গতির ক্যারাম বলে বোল্ড করে তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। একই অভারে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় মায়াঙ্ক আগারওয়ালকেও।
ফলে বড় দায়িত্ব এসে পড়ে নিকোলাস পুরান এবং ম্যাক্সওয়েলের উপর। প্রথমে একবার রান আউট হবার সুযোগ থেকে বাঁচলেও আজ নিকোলাস পুরান ছিলেন গেইল মোডে। মাত্র সাতাশ বলে ছটি চার ও তিনটি দুর্দান্ত ছয়ের সাহায্যে নিজের মারমুখী অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। কিন্তু অর্ধশত রান পূর্ণ করার ঠিক পরেই রাবাডার বলে রিষভ পান্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
ফলে আবার ম্যাচে ফিরে আসে দিল্লি এবং পাঞ্জাবি তরী তীরে ভেড়ানোর দায়িত্ব এসে পড়ে দীপক হুডা এবং ম্যাক্সওয়েলের ওপর। অন্যদিনের তুলনায় আজ যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। বড় শট না খেলে মূলত সিঙ্গেল ডাবলস তুলে নেওয়ার দিকেই মনোযোগ দেন তিনি। কিন্তু ৩২ রানের ইনিংস খেলে রাবাডার বলে বড় শট নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত দীপক হুডার ১৫ রান ও জিমি নিশামের ১০ রানের ক্যামিওর দৌলতে ৬ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ের ফলে দশ ম্যাচের চারটি জিতে পঞ্চম স্থানে উঠে এল তারা।