দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আবুধাবিতে মরিয়া লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টসে জিতে এই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে আজ প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান।
কিন্তু আজ শুরুতেই বড় ধাক্কা খেতে হয় কেকেআরকে। নির্ভরযোগ্য গোড়াপত্তনকারী ব্যাটসম্যান শুভমান গিলকে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান নবদীপ সাইনি। আজ আগুনে বোলিং করেন মহম্মদ সিরাজও। রাহুল ত্রিপাঠী, নীতিশ রানা এবং টম ব্যান্টনকে পরপর ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতার টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন তিনি। ধাক্কা সামলে যখন প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এবং বর্তমান অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, ঠিক সে সময়ে নবম ওভারে ব্যক্তিগত চার রানে যুবেন্দ্র চাহাল ফিরিয়ে দেন কার্তিকেও।অর্থাৎ ম্যাচের ১১ ওভার বাকি থাকতেই আরসিবির দুরন্ত বোলিংয়ের দৌলতে অর্ধেক দল আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় কলকাতার।
আরও পড়ুনঃ এ.বি.ডি -কোহলি আর অ্যারন নাকি কামিন্স-ফার্গুসন, জিতবে কারা মহারণ
ফলে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে অলরাউন্ডার প্যাট কামিন্স এবং ইয়ন মর্গ্যানের ওপর।ব্যাঙ্গালোর বোলিংয়ের জোরালো আঘাত এবং বিষাক্ত পিচ সামলাতে প্রায় টেস্ট ম্যাচ মোডে চলে যেতে হয় তাদের। লক্ষ্য ছিল একটাই কোহলিদের সামনে যে করে হোক একটি সম্মানজনক স্কোর খাড়া করা। তবে বেশিক্ষণ ক্রীজে মর্গ্যানের সঙ্গ দিতে পারেননি প্যাট কামিন্সও।১৩ তম ওভারে চাহালের বলে দায়িত্বহীন শট খেলে সীমানার ধারে ক্যাচ আউট হন তিনিও। কলকাতা দলগত স্কোর তখন ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪০ রান।
গত ম্যাচ গুলির মতোই একদিকে আবার একা হয়ে পড়েন অধিনায়ক মর্গ্যান।সেই চাপেই ৩৬ বলে তিনটি চার ও একটি ছয় সহযোগে ৩০ রানের ইনিংস খেলে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবের ১২ ও লকি ফার্গুসনের ১৯ রানের ক্যামিও দৌলতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রানেই শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস।
আরসিবির হয়ে নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন সিরাজ।