দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আগামী মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার সামনেই করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে কোহলি বাহিনী। এর আগে কুইন্সল্যান্ডের রাজ্য সরকারের সাথে বারবার বৈঠকে বসলেও কোন সদর্থক উত্তর বের করে আনতে পারেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় ও অজি ক্রিকেটারদের আইপিএল পরবর্তী কোয়ারেন্টাইনের নিয়মাবলী নিয়ে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত সামনে আসেনি। বরং কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ব্রিসবেনের অ্যালেন বর্ডার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভ্যাস করা নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন কুইন্সল্যান্ড সরকার। তাই নিউ ওয়েলস সরকারের সাথে বৈঠক করে দ্রুততার সাথে এই বিষয়ক ধোঁয়াশার নিষ্পত্তি করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুনঃ মরশুম ভালো যাচ্ছে না তবু রেকর্ডবুকে ধোনির নাম
কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইপিএল শেষে খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফেদের সোজা দুবাই থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে সঙ্গে যেতে পারবেন না খেলোয়াড়দের স্ত্রী বা বান্ধবীরা। সিডনিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন নিকটবর্তী ট্রেনিং শিবিরে প্রশিক্ষণের অনুমতি দেয়া হবে তাদের। এই নিয়ে আজ নতুন যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করলো নিউ ওয়েলস সরকার এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এর ফলে কোয়ারেন্টাইন প্রটোকল নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশার মেঘ অনেকটাই কাটলো। আগামী মাসের ২৭ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনি গ্রাউন্ডে প্রথম একদিবসীয় ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। ২৯ নভেম্বর দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে একই গ্রাউন্ডে। ১ ডিসেম্বর তৃতীয় একদিনের ম্যাচ খেলার জন্য দুই দলকে পৌঁছতে হবে ক্যানবেরাতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাইভোল্টেজ বর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু হবার আগে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ৬ ও ৮ তারিখ বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিডনিতে।
এর পরেই শুরু হতে চলেছে টেস্ট সিরিজ। অ্যাডিলেড ওভালে ১৭ ডিসেম্বর প্রথম পিঙ্ক বল টেস্ট খেলবে দুই দল। করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক বক্সিং ডে টেস্ট এমসিজিতে সম্ভব না হলে সেটিও অনুষ্ঠিত হবে অ্যাডিলেডের ময়দানেই অন্তত এমনটাই খবর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সূত্রে।
সিরিজের তৃতীয় টেস্টের জন্য আবার সিডনি ফিরে যাবে ভারতীয় দল এবং ১৫ জানুয়ারি থেকে চতুর্থ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে ব্রিসবেনের গ্যাবায়। সিরিজ নিয়ে জট কাটার ফলে এখন অনেকটাই আশাবাদী ফ্যানেরা। নিজেদের প্রিয় ক্রিকেটারদের আরেকবার লড়াইয়ের ময়দানে দেখতে মুখিয়ে রয়েছে তারা।