দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের মরিয়া লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান এবং হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। শুরুটা ভালোই হয়েছিল রাজস্থানের জন্য। দুটি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে মাত্র ১৩ বলে ১৯ রানের সুন্দর ইনিংস খেললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় উথাপ্পাকে। কিন্তু অন্য প্রান্তে রাশিদের বলে একটি জীবন দান পেলেও তার পুরোপুরি ফায়দা তুলতে পারেননি বেন স্টোকস। ৩২ বলে ৩০ রানের মন্থর ইনিংস খেলে রাশিদের বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে
তবে আজ মেজাজে ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কয়েকটি ম্যাচে পরপর ব্যর্থ হলেও আজ শুরুতে কিছুটা সময় নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৬ বলে ৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মরশুম ভালো যাচ্ছে না তবু রেকর্ডবুকে ধোনির নাম
ফলে মধ্যপর্বে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে জস বাটলার এবং অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের উপর। কিন্তু আজ মাঠে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাটলার।মাত্র ৯ রানে বিজয় শংকরের বলে শাহবাজ নাদিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। নটরাজনের বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি তুলে নিয়ে রানের গতিকে কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন তরুণ রিয়ান পরাগ। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি স্মিথ। ১৯ তম ওভারে হোল্ডারের বলে বড় শট নিতে গিয়ে ১৯ রানে ফিরে যান তিনি। একই ওভারে ২০ রানে আউট হয়ে ফেরেন রিয়ান পরাগও।হায়দ্রাবাদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস।
হায়দ্রাবাদের হয়ে নির্ধারিত ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন জেসন হোল্ডার।রাজস্থানকে ম্যাচ জিততে গেলে দুবাইয়ের পিচে অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদের পক্ষ থেকে কার্যকরী ইনিংস খেলতে হবে ওয়ার্নার এবং বেয়ারস্টোকে।