দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: আজ ২’রা আগস্ট। আজ বিশ্ব বন্ধুত্ব বা বন্ধুতা দিবস। করোনা আবহে বন্ধুদের মধ্যে শারিরীক দূরত্ব তৈরি হলেও মানসিক দূরত্ব কখনোই নয়। সেই সাথে এখন সোসাল মিডিয়া আর অ্যান্ড্রয়েড এর যুগ। টেকনোলজি কে হাতের মুঠোয় করে ভার্চুয়াল জগতেই হাতে হাত মিলিয়ে চলছে আড্ডা আর প্রাণের কথা চালাচালি। কিন্তু সত্যিই কী বন্ধুত্বের জন্যে একটা দিন যথেষ্ট, নাকি সত্যি অর্থে বন্ধুত্ব অমূল্য বা এক অশরীর আশীর্বাদ!
হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই প্রশ্ন করা হয়েছিল আমাদের দেশের ক্রিকেট কিংবদন্তি আর অনুরাগীদের ঈশ্বর শচীন রমেশ টেন্ডুলকর কে। উত্তরে তিনি জানান, বাকি আর সকলের মতোই তিনিও এ কথা বিশ্বাস করেন যে বছরে একটা মাত্র দিন বন্ধুত্বের জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত নয়।
আজ রবিবার, ফ্রেন্ডশিপ ডে–র সকাল ১১ টা নাগাদ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি পোস্ট করে লিখলেন তাঁর মনের কথা। তিনি বলেছেন- ‘বন্ধুত্ব হল ক্রিকেটের মাঠে ফ্লাডলাইটের মতো। ওরা তোমার সাফল্য দূরে একটা কোণে দাঁড়িয়ে উপভোগ করবে। কিন্তু যদি ওরা মনে করে, তোমার মাথার ওপর সূর্য ডুবছে, তখন ওরা নিজেরা জ্বলে তোমাকে আলো দেয়। তাই আমার জন্য প্রত্যেক দিনই বন্ধুত্ব দিবস।’ এই ট্যুইটের পাশাপাশি ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও পোস্ট করেছেন শচীন।


ক্রিকেট কিংবদন্তীর এই পোস্ট মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ৩২ হাজার লোক সেটিকে ভালোবাসা দিয়েছেন এবং প্রায় ২ হাজারের মত ট্যুইটার ব্যাবহারকারী সেটিকে নিয়ে নিজের কিছু না কিছু ফিলিংস শেয়ার করেছেন ট্যুইটারে।
শচীনের পাশাপাশি আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস-ও তাদের ভক্তদের বন্ধুত্ব দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মা শনিবারই বিকেল ৩টে নাগাদ ভক্তদের উদ্দেশে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘চলো একত্রে বন্ধুত্ব দিবস পালন করি। যত বেশি সম্ভব হারে তোমাদের প্রশ্ন পাঠাও। কাল উত্তর দেব।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৩০ সালে, যাতে প্রতি বছরের ২’রা আগস্ট সারা বিশ্বের মানুষ যাতে নিজেদের পারস্পরিক বন্ধুত্বকে গুরুত্ব ও স্বীকৃতি দিয়ে পালন করে সেই সেই উদ্দেশ্যে জয়েস হল, যিনি হলমার্ক কার্ডের প্রণেতা এই দিনটি বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।