দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও দেশের মাটিতে অনিশ্চিত আইপিএল এর ভবিষ্যত্ কী তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই ‘জল’ পেল? হ্যাঁ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রবিবার দিন সেরকমই আগাম পরিকল্পনা ও নকশা তৈরি করে রাখলেন। দীপাবলি সপ্তাহে বিদেশে আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পুর্ণ।
আগামী দু মাস দেশের এবং বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে সেটা আগাম বোঝা না গেলেও ভারতীয় বোর্ড এর পরিকল্পনা মাফিক দশ দিন দু’টো করে ম্যাচ হবে। দুপুরের ম্যাচ শুরু হবে ভারতীয় সময় সাড়ে তিনটেতে। রাতের ম্যাচ শুরু হবে সাড়ে সাতটায়।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল হওয়া নিয়ে দেশের ক্রিকেটমোদী মানুষজন যদিও দ্বিধাভক্ত। কারো কারো মতে অলিম্পিক সহ বিশ্বের বড় বড় ইভেন্টগুলো যেখানে পিছিয়ে দেওয়া হল, সেখানে দেশীয় একটি ইভেন্ট বিদেশের মাটিতে করার কোনো যৌক্তিকতা তার খুঁজে পাচ্ছেন না। অন্যদিকে একদল মানুষ ব্যবসায়িক ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এতে বোর্ড সম্ভাব্য চার হাজার কোটি টাকা লোকসান থেকে রক্ষা পাবে।
মরুদেশে আইপিএল শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। কিন্তু যে হারে দেশে এবং বিদেশে কোরোনা পরিস্থিতি প্রতিদিন রেকর্ড করে চলেছে সেখানে বোর্ড কর্তারাও মানছেন যে সব আয়োজন করে রেখেও পিছিয়ে আসতে হতে পারে।
কিন্তু এই বিষয়কেও পেছনে ফেলে ক্রিকেটারেরা তাঁদের সাথে নিজের পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে খুব জলঘোলা হচ্ছিল। রবিবার ভিডিয়ো সম্মেলনের মাধ্যমেই বোর্ডের আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। মিটিং এ ছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেলরা। সে মিটিং এ ঠিক হয় ক্রিকেটারেরা তাঁদের পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার আমিরশাহি সরকার বিদেশী ট্যুরিস্টদের জন্য ফের দরজা খুলে দিচ্ছেন। তাই ক্রিকেটারেরা তাঁদের স্ত্রী, পরিবার কে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে যেতে পারবেন। আসলে ৫৩ দিনের দীর্ঘ প্রতিযেগিতা বলেই স্ত্রী-পরিবারকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেবে বোর্ড। তবে পরিবার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপরই ছাড়বে বোর্ড।
আরও বলা হয়েছে যে ক্রিকেটারের দলই ঠিক করবে, কোন কোন ক্রিকেটার স্ত্রী, পরিবার সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে। টিম হোটেলে কড়া নিয়মকানুন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক দলে ২৪ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে মূলত বিদেশি ফুটবল লিগগুলির নিয়মকানুনই খতিয়ে দেখছে বোর্ড। স্পেনে লা লিগা বা ইংল্যান্ডে ইপিএল যে ভাবে প্রতিযোগিতা চালিয়েছে এখানেও তার ব্যাতিক্রম হওয়ার নয় তবে আমিরশাহি সরকার বলছে, তারা মাঠে দর্শক আনবেই।
দুবাইয়ের ও ভারতের দুটি সংস্থার সাথে আইপিএল চলাকালীন যাবতীয় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় দেখাশোনা করার কথা চলছে যাতে ‘বায়ো বাব্ল’ অর্থাৎ জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা যায়।
করোনা আবহে দীর্ঘ দিনের বিরতির জন্যে এক মাসের শিবির চেয়েছিল দলগুলি। তবে সম্ভবত পনেরো-কুড়ি দিনের শিবিরের অনুমতি মিলবে। সব ঠিক থাকলে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহেই চার্টার্ড বিমানে সব দল দুবাই যাচ্ছে।