দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইংল্যান্ডের ৫৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুজারার ৭৩ পান্থের ৯১ এবং সুন্দরের ৮৫ রানের দৌলতে ৩৩৭ রানে ইনিংস শেষ করে ভারত। ফলো অন থেকে বেশ কিছুটা দূরে শেষ করলেও আজ দ্বিতীয় বার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের জন্য। প্রথম বলেই বার্ন্সকে ফিরিয়ে দেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ভজন বিরতি অবধি এক উইকেট হারিয়ে ১ রান সংগ্রহ করেছিল তারা। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন শিবলী এবং লরেন্স। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করে অশ্বিনের শিকার হন শিবলী। বেশিক্ষণ ক্রিজে রুটের সঙ্গ দিতে পারেননি লরেন্সও। ৪৭ বলে ১৮ রান করে ইশান্তের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
এরপর বেন স্টোকসকে মাত্র ৭ রানে ফিরিয়ে আবারো ইংল্যান্ড শিবিরের উপর আঘাত হানেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। প্রশংসা করতে হবে পান্থেরও। কিপিং গ্লাভস সাথে আজ যেভাবে স্টোকসের ক্যাচ তালুবন্দি করেন তিনি তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একদিকে রুট ইনিংস ধরে রাখার চেষ্টা করলেও আজ একের পর এক ব্যাটসম্যান তার সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন।
কিন্তু অন্যদিকে উইকেট পতনের আজ কোন প্রভাব পড়েনি রুটের ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে চেন্নাইয়ের পিচ যথেষ্ট বিষাক্ত হয়ে ওঠা সত্ত্বেও রুটের ব্যাটিং ছিল স্বচ্ছন্দ। প্রথম ইনিংসের আত্মবিশ্বাসের ঝলক ছিল এই ইনিংসেও। কিন্তু ৩২ বলে সাতটি বাউন্ডারি সাহায্যে ৪০ রান করে বুমরাহের শিকার হন তিনিও। হঠাৎই দুরন্ত গতিতে ভিতরে ঢুকে আসা বল সোজা এসে আছড়ে পড়ে রুটের প্যাডে। ফলতো ১০১ রানেই নিজেদের অর্ধেক দল হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। যদিও ভারতকে সমস্যায় ফেলতে যথেষ্ট রান ছিল তাদের ব্যাগে। মনে রাখতে হবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৩৭ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তাই মাঠে আসতেই দুরন্ত গতিতে রান তুলতে চেষ্টা করেন বাটলার এবং পোপ। আপাতত চা পান বিরতি অবধি ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান। একদিকে ১৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন পোপ, অন্যদিকে ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন বাটলার। আপাতত ভারতের থেকে ৩৬০ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।