দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :ধোনির হাত থেকেই এসেছিলো ,২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেই বিখ্যাত ছয় আর সেই ছয় দিয়েই ভারত দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঘরে তুলেছিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ । সেই স্মৃতি স্মরণে রাখতে এমএস ধোনির নামে ওয়াংখেড়েস্টেডিয়ামে একটি নির্দিষ্ট আসনের নামকরণের প্রস্তাব করেছে।
ওই একটি ছয় ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত শট হিসাবে পরিচিত আজ । মহেন্দ্র সিং ধোনির ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের ওই শটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল । এটি এমন একটি শট যা ধোনির প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাঁর অবসর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সেই আসনটি চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেখানে তার সেই বিখ্যাত ছয়ের বলটি পড়েছিল ।মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অজিঙ্কে নায়েক সোমবার এই প্রস্তাব নিয়ে এমসিএকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি বলেন “ভারতীয় ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির অপরিসীম অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানার জন্য, এমসিএ তার নামে স্থায়ীভাবে
নয় বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে ধোনি শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান কুলাসেকারের বোলিংয়ে ছক্কা মেরে ভারতের জয়ে সীলমোহর দিয়েছিলেন । বলটি এমসিএ প্যাভিলিয়নের যে আসনে গিয়ে পড়েছিল সেটাকে সংরকনের মধ্যে দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সাথে ধোনির যোগসূত্র উদযাপনের অনন্য উপায়ে আসনটি আঁকতে এবং সাজানোর প্রস্তাব করেছেন সেই চিঠিতে । “সম্ভবত আসনটি স্টেডিয়াম টুরে পর্যটকদের আকর্ষণ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার এমসিএ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এবং সম্ভবত নায়েকের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তিনি ২০১১ সালের ফাইনালে ব্যবহৃত বিশ্বকাপের বলটি সন্ধানের পরামর্শ দিয়েছেন । যাতে এই বলটিকে এমসিএর পরিকল্পিত যাদুঘরে সংরক্ষণ করা যায়। চিঠিতে তিনি যোগ করেছেন, “বিশ্বকাপের বলটি কোথায় তা খুঁজে বের করা সম্ভব হলে খুব ভাল লাগবে,” তিনি লিখেছিলেন। “এটি আসন্ন ক্রিকেট যাদুঘরের গর্বিত আকর্ষণ হতে পারে। কিংবদন্তি এমএস ধোনিকে সম্মান জানাতে আমার কাছ থেকে একটি ছোট্ট পরামর্শ।
এখনও অবধি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামটি প্রাক্তন খেলোয়াড়দের জন্য কয়েকটি জায়গা উৎসর্গ করা হয়েছে । শচীন টেন্ডুলকার স্ট্যান্ড, সুনীল গাভাস্কার স্ট্যান্ড এবং বিজয় মার্চেন্ট স্ট্যান্ড রয়েছে। পলি উমরিগার গেট এবং বিনু মানকাদ গেটও রয়েছে। শীঘ্রই, একটি এমএস ধোনির নামে আসন হতে পারে।