দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ১৯৩৭ সালে মুম্বাই এর এক মারাঠি পরিবারে জন্ম নিলেন এক কন্যা সন্তান। সকলে নাম রাখলেন রজনী। তখন পর্যন্ত কেউ জানতেনই না তিনি আসলে রত্নগর্ভা। তিনি জন্ম দেবেন সর্বকালের সেরা এক ক্রিকেটার কে। তিনি আমাদের সবার পরিচিত ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন টেন্ডুলকারের মা রজনী টেন্ডুলকার।


আজ তিনি ৮৩ বছরে পা রাখলেন। মায়ের জন্মদিনে নিজের হাতে কেক কেটে মাকে খাইয়ে দেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন লিটল মাষ্টার। আজ সেই রত্নগর্ভা রজনী আইয়ের সম্পর্কে কয়েক টা অজানা বিষয় জেনে নেব।


রজনী মা নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একজন এল আই সি এজেন্ট হিসেবে। তিনি মুম্বাই এর সান্তাক্রুজের বিদেশ বিভাগের শাখায় কাজ করতেন। নিজের ছেলের গগনচুম্বী সাফল্যের দিনেও তিনি নিজের কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন নি। বরং অবসরের দিন পর্যন্ত নিয়ম মেনে কাজ করে গিয়েছেন। আর তাঁর এই নিয়মানুবর্তীতাই হয়তো তাঁর ছোট ছেলের খেলায় দেখতে পেয়েছি আমরা।
শুধুমাত্র ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি নিয়েছিলেন কারণ সে সময়ে তাঁর চলাফেরায কিছু সমস্যা ছিল। এমন কী ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ে নিজের স্বামী রমেশ টেন্ডুলকারকে হরিয়েও তিনি তাঁর ছেলেকে খেলা ফেলে ফিরে আসতে বারণ করেছিলেন।
তাঁর ছেলেকে বিশ্বজুড়ে মানুষ ক্রিকেট ঈশ্বর বললেও জীবনে ছেলের খেলা মাত্র একটা ম্যাচ তিনি দেখেছেন সেটাও সচিনের ২০০ তম টেস্ট ম্যাচের দিন।
আজ নিজের ৮৩ তম জন্মদিনে তিনি উচ্ছ্বসিত। সচিনের ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করতেই মূহুর্তে ভাইরাল হয় সেটা। আজ রাত ৮ টা নাগাদ ছবিটি শেয়ার করেন সচিন। এই মূহুর্তে মোট ৭.৩ হাজার মানুষ রিয়েক্ট করেছেন, শেয়ার হয়েছে ৭৪ বার। কমেন্ট এ শুভেচ্ছা এসেছে ৪৫০ টি।
ইনস্টাগ্রামের পোস্ট এ সচিন লিখেছেন “আজ আমার সব ভাই ও বোনদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে মায়ের ৮৩ তম জন্মদিন বড় ধুমধামের সাথে পালন করলাম।” উল্লেখ্য সচিনের দুই দাদা, তাঁরা হলেন অজিত, নিতিন আর এক বোন সবিতা।


সচিনের একদা ওপেনিং জুটি সৌরভ বলেছেন “একটি সম্পুর্ন জ্ন্মদিন চাই আমার তরফ থেকে তাঁর জন্যে”। ইতিপূর্বে মাতৃদিবসে সচিন লিখেছিলেন যে ” আপনি আমার কাছে আই হতে পারেন, অন্য সব কিছু ছাড়াও আপনি সব সময় চমৎকার এবং অপূরণীয়। আমার জন্য আপনি যা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।”