দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল আজ শুধুমাত্র সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত আইপিএল স্কোরের সাথে প্রথম ভারতীয় হয়ে ওঠেননি বরং এই মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরি’র রেকর্ড ও তৈরি করলেন। আজ দুবাইয়ে পাঞ্জাব ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি ম্যাচে তিনি মাত্র ৬৯ বলে ১৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৬ ওভার পর, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৩ উইকেটে ১৩২ রান – যেটি বিশাল স্কোর নয় বরং বেশ যুক্তিসঙ্গত স্কোর। তারপর, বিরাট কোহলি কেএল রাহুলের ক্যাচ ফেলেন – একবার নয়, দুবার। রাহুল প্রথম ক্যাচ ড্রপের পর ১৩ বলে ৪৮ এবং দ্বিতীয় ক্যাচ ড্রপের পর মাত্র ৯ বলে ৪২ রান করেন। শেষ তিন ওভারে ৪৯ রান করে কিংস ইলেভেন মোট ৬০ রান করে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স যে দ্বিতীয় ক্যাচটি মিস করে, যা ১৮ তম ওভারের শেষে আসে, সেটি’র মূল্য ২৬ রান যেখানে প্রথম ক্যাচ মিসে মূল্য হসেবে ২৪ রান দিতে হয়েছে। অর্থাৎ,কোহলি যদি ১৮তম ওভারের শেষে দ্বিতীয় ক্যাচ নিতেন, তাহলে কিংস ইলেভেন ৪৯ এর পরিবর্তে শেষ দুই ওভারে মাত্র ২৩ রান করতে পারত।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যখন আউট তখন কিংস ইলেভেনে পর পর জেমস নিশাম এবং সরফরাজ খান ছিল। দুজনেই বেশ ভালো হিটার, কিন্তু আপনি এদের ওপরে এতটা আশা করতে পারেন না যেটা রাহুল শেষ কয়েক ওভারে করতে পেরেছে।
প্রথম ক্যাচ ড্রপের মূল্য দ্বিতীয় বারের চেয়ে কিছুটা কম, কারণ রাহুল দুইবার ড্রপ ক্যাচের মধ্যে পাঁচ বলে সাত রান করেন (ঐ দুই বল সহ)। এটা এমন একটা হার যা ব্যাটসম্যানরা অনুসরণ করতে পারত, কিন্তু দ্বিতীয় ড্রপের পর রাহুল অপ্রতিরোধ্য ছিল।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব শেষ চার ওভারে ৭৪ রান নিয়েছে, যা দুবাইয়ে একটি টি-টোয়েন্টি খেলার শেষ চার ওভারে আগের চেয়ে ১০ রান বেশি। এতই সম্ভব হয়েছে কারণ রাহুল তার খেলাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, এবং আরও একটি অন্যতম কারণ কোহলি তাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। এই পজিটিভ ও নেগেটিভ অংশ মিলিয়েই আজ বিস্ফোরক রাহুল।