দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আবার ব্যর্থ সানরাইজেস হায়দ্রাবাদের মিডিল অর্ডার। টসে জিতে আজ শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।কিন্তু সুযোগের সৎব্যবহার করতে পারেনি তারা। প্যাট কামিন্সের ভিতরে আসা ইনস্যুইংয়ে শুরুতেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান ফর্মে থাকা জনি বেয়ারস্টো।
এরপর থেকেই রানের গতি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করে হায়দ্রাবাদ শিবিরে। ওয়ার্নার, মনীশ পান্ডে, ঋদ্ধিমান সাহা রান পেয়েছেন তিনজনেই কিন্তু কুড়ি ওভারের খেলার বড় স্কোর করতে গেলে দরকার দ্রুতগতিতে রান তোলার। সেই দ্রুতগতির অভাব দেখা যায় তিনজনের মধ্যেই।
ডেভিড ওয়ার্নারকেও দেখা যায়নি তার স্বকীয় ছন্দে ৩০ বল খেলে ২ টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ রান করে নবাগত বরুন চক্রবর্তীর হাতে নিজের উইকেট তুলে দেন তিনি।
৩৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেললেও শেষের দিকে দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেননি মনীশ পান্ডেও। তবে সবচেয়ে বেশি আশাহত করেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ৩১ বলে ১টি চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে তার সংগ্রহ ৩০ রান।
অন্যদিকে আজ তারিফযোগ্য অধিনায়কত্ব করেন দীনেশ কার্তিক।সুনীল নারায়ন, বরুন চক্রবর্তী, প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেলের বোলিংকে যেভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মাত্র ১৪২ রানেই শেষ হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস। কলকাতার তরফে প্যাট কামিন্স, বরুন চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল তুলে নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খলিলের বলে প্রথমেই নারায়নের উইকেট হারায় কলকাতা। ভালো শুরু করলেও ব্যাক্তিগত ২৬ রানের মাথায় নটরাজনের বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিতীশ রানা। রাশিদ খানের গুগলি নাইট অধিনায়ক কার্তিককেও ফিরিয়ে দেয় খাতা খোলার আগেই।
কিন্তু এই সময়েই নাইটদের ত্রাতা হয়ে সামনে এগিয়ে আসেন তরুন শুভমন গিল। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেন কে.কে.আরের নতুন অতিথি ইয়ন মর্গ্যান। বিরুদ্ধ পরিস্থিতি সামলে সাবধানী হাতে ৬২ বলে ৫ টি চার ও ২ টি ছয়ের সাহায্যে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন শুভমান গিল। অন্যদিকে মাত্র ২৯ বলে ৩ টি চার ও ২ টি ছয় দিয়ে সাজানো ৪২ রানের ইনিংস খেলেন মর্গ্যান।
তাদের এই অনবদ্য পার্টনারশিপের জেরে দু ওভার বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নাইটরা। সাত উইকেটের সহজ জয়ের পর লিগ টেবিলে এখন তারা রয়েছে পঞ্চম স্থানে।