দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পরিস্থিতি যে কঠিন ছিল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ১৪২ হলেও দ্বিতীয় ওভারেই খলিলের বলে শূন্য রানে ফিরে যান ওপেনিং পার্টনার সুনীল নারায়ান। কিন্তু তরুণ শুভমন গিল আজ ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভুবনেশ্বর, খলিলদের শাণিত আক্রমণের বিরুদ্ধে নিতীশ রানাকে সাথে নিয়ে হাল ধরেন তিনি।
তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়না এই পার্টনারশিপও। ভালো শুরু করলেও ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় নটরাজনের বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিতীশ রানা। পরের ওভারেই অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে ফিরিয়ে কলকাতাকে বেকায়দায় ফেলে দেন রাশিদ খান। নাইটদের স্কোর তখন ৬.২ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান।
নাইটদের নতুন অতিথি ইয়ন মর্গ্যানের সাথে হাল ধরেন শুভমান গিল। রশিদ খান মহম্মদ নবীদের দুরন্ত স্পিন এবং ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল ও টি.নটরাজনের ত্রিফলা স্যুইং বোলিংয়ের আক্রমণ সামলান সাবধানী হাতে। সম্পূর্ণ কপিবুক ক্রিকেটিং শটের উপর ভরসা রেখে মাঠের চারদিকে নিজের ইনিংসকে ছড়িয়ে দেন শুভমন।


এসময় কিছুটা অসাবধানী হলেই হয়তোবা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখতে হত নাইটদের।কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরও তিনি বুঝিয়ে দেন কে.কে.আর তার উপর ভরসা করে ভুল করেনি। ৬২ বলে পাঁচটি চার এবং দুটি ছয় দিয়ে সাজানো তার ৭০ রানের ইনিংস শুধু যে কে.কে.আরকে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দেয় তাই নয় শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ ফিনিশ করে তিনি বুঝিয়ে দেন নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতে তিনি প্রস্তুত।
ম্যাচ শেষে ইন্টারভিউতেও সেই কথাই উঠে আসে তার বক্তব্যে। তিনি বলেন,” বল বিশেষ স্পিন করছিলনা তাই শট নিতে আমাদের সুবিধাই হচ্ছিল। গত দুবছর ধরেই আমি বড় শট খেলার প্র্যাকটিস করছি। আমি মনে করি এই জয় আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব ভালো বোলিং করেছিলাম ব্যাটিংয়েও ভালো পারফর্মেন্সের মাধ্যমে ব্যাকআপ করতে পেরেছি।
মর্গ্যানের সঙ্গে সেই সময় আমার বিশেষ কথা হয়নি আমরা শুধু বোঝবার চেষ্টা করছিলাম বোলাররা কি করতে চাইছে?একজন ওপেনার হিসেবে আমার দায়িত্ব শেষ অবধি খেলা এবং দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া।”