দুবাইয়ের ময়দানে আজ মুখোমুখি চেন্নাই এবং হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে আজ শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের শুরুতেই দীপক চাহারের দুর্দান্ত ইয়র্কারে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। এরপর ওয়ার্নার এবং মনীশ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি কেউই। ব্যাক্তিগত ২৯ রানের মাথায় শার্দূল ঠাকুরের বলে স্যাম ক্যুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মনীশ পান্ডে।
দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করার মুখেই ফ্যাফ ডুপ্লেসির অসাধারণ ক্যাচের দৌলতে মাত্র ২৮ রানেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান পিযুশ চাওলা। তখনো পর্যন্ত ফ্যানেদের ভরসা ছিলেন ক্যেন উইলিয়ামসন, কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তিনি রান আউট হবার পর অনেকেই মনে করেছিলেন আজ আর বেশিদুর এগোতে পারবে না হায়দ্রাবাদ।
কিন্তু ঠিক এইসময়েই দলের হাল ধরেন দুই তরুন অভিষেক শর্মা এবং প্রিয়ম গর্গ। দীপক চাহারের বলে দুবার জীবনদান পেলেও শেষ পর্যন্ত ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক। কিন্তু আউট হবার আগে অব্দি মাত্র ২৩ বলে ৪ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে ৩১ রান করে দলকে সম্মানজনক স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়ে যান তিনি। তবে আজ তরুন প্রিয়ম গর্গকে আটকানো প্রায় অসম্ভব ছিল চেন্নাইয়ের বোলারদের কাছে।
যদিও ইনিংসের শেষ ওভারে শার্দুলের একটি নো বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন দান পান তিনি।কিন্তু আজ যেভাবে মাত্র ২৬ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয় সহযোগে ৫১ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি, তা সত্যিই অনবদ্য। ক্যুরান, ব্রাভো, চাওলা,শার্দুল বা দীপক কেউই আজ রক্ষা পাননি প্রিয়মের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে। মূলত এই ইনিংসের দৌলতেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের সম্মানজনক স্কোর খাড়া করে হায়দ্রাবাদ।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণী ডার্বিতে ধোনির বাজি পুরো ফিট রাইডু
তবে মনে রাখতে হবে চোট সারিয়ে আজ চেন্নাই দলে ফিরেছেন অম্বতি রাইডু এবং ডোয়েন ব্র্যাভো। তাই তাদের মিডিল অর্ডার এখন অনেকটাই শক্তশালী বলে মনে করছেন অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই। যদি ভুবনেশ্বর কুমার এবং রশিদ খানকে কিছুটা দেখে খেলতে পারেন তারা, তাহলে আইপিএলের এই মরশুমে দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়া মোটেই অসম্ভব নয় চেন্নাই সুপার কিংস এর কাছে।