দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এবারের আইপিএল গুনগত দিক থেকে অন্যান্য মরসুম থেকে আলাদা। এর বড় কারণ আবহাওয়া ও পিচ। বালু ভূমির নির্জীব পিচ কিন্তু যত খেল দেখাচ্ছে ওই শেষ চার ওভারেই। খুব টাইট ম্যাচের প্রায় সবকটিতেই শেষ ২৪ বলে খেলার অবহাওয়া পাল্টে দিয়েছে। সব পরিসংখ্যান উল্টে পাল্টে দিয়েছে। এই যেমন আজ ও তাই হলো।
শনিবার শারজার মাঠে দিল্লির দুই তরুণ তুর্কি পৃথ্বি শ আর শ্রেয়স আইয়ারের মরু ঝড় তোলা ব্যাটিং দাপট দেখে মাষ্টার ব্লাস্টারও যখন আপ্লুত, ঠিক পরের ধাপে রাহুল ত্রিপাঠি ও ইয়ন মরগ্যানের ধূমাধার ব্যাটিং ওলট পালট করে দিচ্ছিল সব বিশেষজ্ঞের ক্রিকেটীয় অংক। মরগ্যান ১৮ বলে ৪৪ রান করল। যা রাবাদাকে মারা তিনটি ছয় ও স্টোইনিসকে মারা দুটি ছক্কা’র নজরভেদী শটে সাজানো। নর্টজের বোলিংয়ে আউট হলেও এই ইনিংস, সত্যিই দেখার মতো।
যদিও নীতিশ রানার ৩৫ বলে ৫৮ রান কেকেআরকে লড়াইয়ের জায়গা করে দিয়েছিল কিন্তু শেষ ওভারে ৬ বলে ২৬ রানের মতো জায়গায় নিয়ে গেল রাহুল ও মরগ্যানের বিধ্বংসী ব্যাটিংই। ত্রিপাঠি’র ১৬ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস সাজানো তিনটি ছয় ও তিনটি বাউন্ডারিতে।
আজ দিল্লির টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই রান পেয়েছে। ওপেনার পৃথ্বী খুব আনপ্রেডিকটেবল কিন্তু শনিবার যে ইনিংসটি খেলল, তা এক কথায় অনবদ্য। ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে রয়েছে চারটি চার ও চারটি ওভার বাউন্ডারি। পাশাপাশি শিখর ধাওয়ান অল্প সময়ের জন্যে খেললেও রানের গতি কমতে দেননি। আর আজ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং শচীন টেন্ডুলকর। বিচক্ষণ ব্যাটিং করে গেল আজ। ৩৮ বলে ৮৮ রান করলো শ্রেয়স, যার মধ্যে রয়েছে সাতটি চার ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারি। এই খেলাতে শ্রেয়স ২৬ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেছে। অন্যদিকে পৃথ্বী হাফ সেঞ্চুরি করেছে ৩৫ বলে। তবে অভিজ্ঞ ঋষভের ১৭ বলে ৩৮ রান করা ২২৮ রানের টার্গেট খাড়া করতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। এককথায় আজ কেকেআর হারলেও এই ম্যাচ টা এখনো অবধি বলা যেতে পারে ‘বেস্ট শো অফ টি২০ ব্যাটিং’।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দিল্লি ক্যাপিটালস :২০ ওভারে ২২৮/৪।
শ্রেয়স ৮৮, পৃথ্বী ৬৬, ঋষভ ৩৮, রাসেল ২/২৯।
কলকাতা নাইট রাইডার্স : ২০ ওভারে ২১০/৮।
রানা ৫৮, মরগ্যান ৪৪, ত্রিপাঠি ৩৬, নর্টজে ৩/৩৩।
দিল্লি ক্যাপিটালস জয়ী ১৮ রানে। শনিবারের ম্যাচের সেরা : শ্রেয়স আইআর।