আইপিএলে ১৭ তম ম্যাচে শারজায় আজ মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে আজ প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের জন্য। মাত্র ৬ রানে সন্দীপ শর্মার ওয়াইড আউটস্যুইং বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটকিপার বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। সূর্যকুমার যাদব কিছু অসাধারণ বাউন্ডারি মেরে আশা জাগালেও মাত্র ১৮ বলে ২৭ রান সিদ্ধার্থ কলের পায়ের উপর ধেয়ে আসা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন তিনি।
কিন্তু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন কুইন্টন ডিকক। মনীশ পান্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও একবার যে জীবনদান পান তিনি আজ তার পুরো ফায়দা তোলেন ডিকক। মাত্র ৩৯ বলে ৪ টি চার ও ৪ টি ছয় দিয়ে সাজানো অসাধারণ ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। রাশিদ খানের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে অবধি আজ তিনি ছিলেন স্বকীয় ভঙ্গিমায়।
খারাপ বলের যথাযথ ফায়দা আজ তার যোগ্য সঙ্গত দেন ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের ট্রাজিক নায়ক ঈশান কিষানও। ডিককের উইকেট হারানোর পরেও রাশিদ খানকে যেভাবে ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি ছিল সত্যি অনবদ্য।কিন্তু ব্যাক্তিগত ৩১ রানে সন্দীপ শর্মার বলে বড় শট নিতে গিয়ে মনীশ পান্ডের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে ক্যাচ আউট তিনি। শারজা ব্যাটিং স্বর্গ হলেও আজ রাশিদ খানের দুর্দান্ত ঘুর্নির সামনে আজ হার্দিক-পোলার্ডদের মত মারকুটে ব্যাটসম্যানরাও শান্ত থাকতে একপ্রকার বাধ্য হন।
আরও পড়ুনঃ পাঞ্জাবি ভাঙরা না হুইসেল পডু কার দাপটে মাতবে দুবাই
কিন্তু ১৭ তম ওভারে নটরাজন আসতেই আবার শুরু হয় রানের বৃষ্টি। তবে যেভাবে একের পর এক ইয়ার্কার নিয়ন্ত্রণের সাথে এক্সিকিউট করেন এই তরুণ তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। তবে শারজার মত পিচে পোলার্ড এবং হার্দিককে আটকানো সত্যিই ছিল ভীষণ কঠিন।যদিও সন্দীপ শর্মার বলেই রাশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়েও একবার জীবন দান পান পোলার্ড।
তবে মার পরা সত্বেও আজ যেভাবে সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে হায়দ্রাবাদ, সেই কারনেই হার্দিকের মারকুটে ২৮ রানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় সিদ্ধার্থ কলের ২০তম ওভারে। কিরন পোলার্ডের মারকুটে ২৫ এবং ক্রুনালের মাত্র ৪ বলে করা ২০ রান সত্ত্বেও ২০৮ রানেই থমকে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস। শারজার ময়দানে যা গড় স্কোরের তুলনায় বেশ কিছুটা কম।
তাই আজ যদি একবার জ্বলে উঠতে পারেন কেন ইলিয়ামসন, ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টোরা এই রান তাড়া করেও হয়তো জয় ছিনিয়ে নিতে পারে হায়দ্রাবাদ। তবে মনে রাখতে হবে সামনে থাকবেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন এবং যশপ্রীত বুমরাহ।