দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের ১৭ তম ম্যাচে শারজার ময়দানে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সন্দীপ শর্মার বলে দ্রুত আউট হয় রোহিত প্যাভেলিয়নে ফিরলেও কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ ৬৭ রান এবং ঈশান কিশান-হার্দিক পান্ডে-কিরণ পোলার্ডদের ছোট ছোট মারকুটে ক্যামিওর দৌলতে নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে মুম্বাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করলেও ট্রেন্ট বোল্টের বলে বড় শট নিতে গিয়ে মিড উইকেট সীমানায় হার্দিক পান্ডের হাতে ধরা পড়েন জনি বেয়ারস্টো। ২টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে আজ তার সংগ্রহ ১৫ বলে ২৫ রান।
প্রথমে একটু সময় নিলেও বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পরেই খোলস ছেড়ে বের হতে থাকেন ওয়ার্নার। বুমরাহের প্রথম ওভারেই পরপর দুটি অসাধারণ বাউন্ডারি মেরে তাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবার চেষ্টা করেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন মনিশ পান্ডেও। ছোট মাঠের সুবিধা তুলে প্রথম ওভারেই রাহুল চাহারকে যেভাবে মাঠের বাইরে পাঠাতে শুরু করেন পান্ডে এবং ওয়ার্নার তা এককথায় অনবদ্য। বোল্ট, প্যাটিনসন, বুমরাহ কাউকেই আজ রেয়াত করেননি ওয়ার্নার।কিন্তু প্যাটিনসনের বলেই ১৯ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ের সাহায্যে ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মনীশ পান্ডেকে।হায়দ্রাবাদের দলগত স্কোর তখন ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান।
আরও পড়ুনঃ ডিককের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ২০৮ রানে থামল মুম্বাই শো, বড় টার্গেট হায়দ্রাবাদের সামনে
কিন্তু অন্যপ্রান্তে উইকেট পরলেও ক্রুনাল পান্ডের পরের ওভারেই একটি ছয় ও একটি অসাধারণ চার মেরে তিনি বুঝিয়ে দেন আজ এক মুহূর্তের জন্যও নিজের মারকুটে মেজাজ ত্যাগ করবেন না তিনি। ১২ তম ওভারে মাত্র ৩৪ বলে ৪টি চার ২টি অসাধারণ ছয়ের সাহায্যে নিজের অধিনায়কোচিত অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি। বড় রান তাড়া করে যখন নিজেদের সামলে নেবার চেষ্টা করছে হায়দ্রাবাদ ঠিক তখনই বোল্টের ধীর গতির বাউন্সার তাড়া করতে গিয়ে উইকেটকিপার ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান উইলিয়ামসন। ক্রীজে বেশিক্ষন স্থায়ী হতে পারেননি গত ম্যাচের নায়ক প্রিয়ম গর্গও। রহুল চাহারের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের দৌলতে ক্রুনাল পান্ডের বলে সীমানার ধারে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ফলত সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের কাঁধে।
কিন্তু ব্যাক্তিগত ৬০ রানে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ঈশান কিষাণের অবিশ্বাস্য ক্যাচের দৌলতে প্যাটিনসনের বলে ফিরে যেতে হয় তাকে।
ফলত ১৬ তম ওভারেই বাতাসে জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে মুম্বাই। তবে বুমরাহের মত অভতবে বুমরাহ এর মত অভিজ্ঞ বোলারের বিরুদ্ধে যেভাবে বড় শট নিতে শুরু করেছিলেন তরুণ আব্দুল সামাদ তা সত্যিই আশা জাগাতে শুরু করেছিল হায়দ্রাবাদ ফ্যানেদের মনে। তবে পরে ১৯ তম ওভারে তার বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় সামাদকে। একই ওভারে দুরন্ত ইয়র্কারে তরুণ অভিষেক শর্মাকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। এই দুরন্ত বোলিং আক্রমনের জেরেই শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস।
এই জয়ের সাথে সাথেই ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের প্রথম সারিতে উঠে এল মুম্বাই।