দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের ডাবল হেডারের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এবং চেন্নাই। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল। ক্রিকেটীয় ভাষায় “টপ হেভি” সাইডের আদর্শ উদাহরণ হল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করেই আজও মারমুখী শুরু করেছিলেন রাহুল-মায়াঙ্ক জুটি।দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, ড্যারেন ব্রাভোর মত অভিজ্ঞ বোলারদেরও অতি সাধারণ মনে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু ম্যাচের নবম ওভারে দলগত ৬১ রানের মাথায় পীযূষ চাওলার বলে স্যাম ক্যুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় মায়াঙ্ককে।
কিন্তু ধৈর্য হারাননি কে এল রাহুল। দুবাইয়ের বড় মাঠকে কাজে লাগিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে একরান দুরান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালাতে থাকেন তিনি। সাথ দেন এই মরশুমে পাঞ্জাবের হয়ে প্রথমবার খেলতে নামা মনদীপ সিংহও। উইকেট শিকারী লেগস্পিনার চাওলাকে ১১ তম ওভারে পরপর দুটি ছয় মেরে আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেবার চেষ্টা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ শারজায় সুপারহিট বোলিং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের, ৩৪ রানে হার হায়দ্রাবাদের
অন্যদিকে অ্যংকারের ভূমিকা পালন করছিলেন অধিনায়ক রাহুল। কিন্তু জাদেজার বলে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৭ রানে রাইডুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মনদীপ। তবুও কে এল রাহুল আজ কোন তাড়াহুড়ো করেননি অন্যদিকে নিকোলাস পুরান যখন জাদেজাকে একের পর এক বড় শট নিচ্ছেন তখন শেষ অব্দি টিকে খেলার চেষ্টা করেন তিনি।শার্দুল ঠাকুরের ১৫ তম ওভারে ছয় মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরে রনমূর্তি ধারণ করেন তিনি।একই ওভারে পরপর তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শার্দুলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রাহুল।
অন্যদিকে নিকোলাস পুরানও ছিলেন স্বকীয় ভঙ্গিমায়, ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হিটিংয়ে ড্যারেন ব্রাভো, স্যাম ক্যুরানের মত দক্ষ বোলারকেও মাঠের বাইরে পাঠান তিনি। কিন্তু ১ টি চার ও ৩ টি ছয়ের সাহায্যে ১৭ বলে বিধ্বংসী ৩৩ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন পুরান।পরের বলেই শার্দুল ফিরিয়ে দেন ৭টি চার ১টি ছয়ের সাহায্যে ৬৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলা রাহুলকে। ফলত ১৮ তম ওভারে আবারও ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংস। পাঞ্জবের দলগত স্কোর তখন ১৫৫ রান।
শেষ ওভারে সরফরাজ খান এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ফিনিশিং টাচের জেরে ১৭৮ রানে শেষ করে পাঞ্জাব। আজও নিজের নাম অনুযায়ী বড় শট খেলতে ব্যর্থ হন ম্যাক্সওয়েল।
চেন্নাইয়ের সামনে যথেষ্ট বড় লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে এই রান।তাই জিততে হলে বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে হবে রাইডু এবং ডুপ্লেসিসদের।চেন্নাইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর।