দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলে ডবল হেডারের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এবং চেন্নাই।টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে কে এল রাহুলের ৬৩ এবং নিকোলাস পুরানের ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসের দৌলতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৭৯ রানের টার্গেট দেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজ প্রথম থেকেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস। গত ম্যাচগুলিতে ব্যর্থ হলেও আজ শেলডনের বলে দুরন্ত দুটি বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন ওয়াটসন। অন্যদিকে এই মরশুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডুপ্লেসিস আজও ছিলেন স্বকীয় ভঙ্গিমায়। মহম্মদ শামি, ক্রিস জর্ডন, শেলডন কর্টেলদের অসাধারণ দক্ষতায় একের পর এক বাউন্ডারি মারেন তিনি।
প্রথমে একটু সময় নিলেও লেগ স্পিনার রবি বিশনোই আসার সাথে সাথেই স্বমূর্তি ধারণ করেন ওয়াটসন। মাত্র ৫৯ বলে ১০০ রানের প্রথম উইকেটের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তারা।ক্রিস জর্ডনের বলে বাউন্ডারি মেরে মাত্র ৩১ বলে ৮টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ওয়াটসন। এই ১২ তম ওভারেই মাত্র ৩৩ বলে ৭টি চারের সাহায্যে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ডুপ্লেসিসও।
পাঞ্জাবের বোলারদের কেউই আজ তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। মহম্মদ শামি প্রথম অর্ধে কিছুটা সুইং পেলেও সেভাবে সুবিধা তুলতে পারেননি। তরুণ বাঁহাতি স্পিনার হারপ্রীতের উপরেও আজ ইচ্ছেমতো গোলাবর্ষণ করে ডুপ্লেসিস-ওয়াটসন জুটি।কে এল রাহুলের অধিনায়কত্বের বেশ কিছু ত্রুটিও আজ যাত্রাপথ অনেকটাই সহজ করে দেয় চেন্নাইয়ের। বিশেষ করে লেগস্পিনার রবি বিশনোইকে যেভাবে ব্যবহার করেছেন রাহুল, তা মোটেই সঠিক ছিল না। ওয়াটসনের লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতার কথা সর্বজনবিদিত। তাও যেভাবে রবিকে পাওয়ার প্লের পরে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন রাহুল, তা দেখে হতভম্ব অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই।তবে অবশ্যই তারিফ করতে হবে ওয়াটসন এবং ডুপ্লেসিসের। যেভাবে নিজের সীমাবদ্ধতাকে মাথায় রেখে প্রথমে সময় নিয়ে তারপর বড় শট নিতে শুরু করেন ওয়াটসন তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।
আরও পড়ুনঃ রাহুলের লাজাবাব সঙ্গতে পুরানের ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো, চেন্নাইকে ১৭৯ রানের টার্গেট পাঞ্জাবের
আজ পাঞ্জাবের কোন বোলারকেই রেয়াত করেননি তারা।তবে প্রশংসা করতে হবে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরও।বারবার ব্যর্থ হবার পরেও শেন ওয়াটসনকে টিমের বাইরে রাখেননি তিনি। তার উপর অধিনায়কের এই ভরসাকে আজ আরও একবার সঠিক প্রমাণ করলেন ওয়াটসন। ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৬ তম ওভারেই ১৫০ রানে পৌঁছে যায় এই জুটি। যার মধ্যে ১১ টি চার ও ৩টি সহযোগে ওয়াটসন কন্ট্রিবিউট করেন ৮১ রান এবং ৮টি চারের সাহায্যে ডুপ্লেসিসের কন্ট্রিবিউশন ছিল ৬৫ রানের।
শেষ পর্যন্ত কার্যত এই দুই তারকা ব্যাটসম্যানের দৌলতেই বিনা উইকেটে ১৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় চেন্নাই। শেষ অবধি মাত্র ৫৩ বলে ১১টি চার ও ১ টি ছয় মেরে ৮৭ রান করেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিস। অন্যদিকে একই সংখ্যক বলে ১১ টি চার ৩ টি ছয়ের সাহায্যে ৮৩ রান করেন ওয়াটসন।
বিনা উইকেটে জয়ের ফলে নেট রানরেটে অনেকটাই উপরে উঠে আসবেন মাহিরা। পাঁচটি ম্যাচে দুটি জয় নিয়ে এই মুহূর্তে তারা রয়েছেন লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। অন্যদিকে এই হারের পর লীগ টেবিলের অষ্টম স্থানে নেমে গেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।