দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ দুবাইয়ের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টসে জিতে আজ প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। গতম্যাচের হারের শোক ভুলে আজ প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে শুরু করেন ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো।বিশেষত ওয়েস্টইন্ডিয়ান তারকা শেল্ডন কর্টেলের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বেয়ারস্টো। পরপর তিনটি চার মেরে কর্টেলের লয় বিনষ্ট করে দেবার চেষ্টা করেন তিনি। পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারে যদিও শামির বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে জীবনদান পান বেয়ারস্টো, কিন্তু তার আক্রমণাত্মক মেজাজে আজ একটুও ভাটা পড়েনি। এই ওভারেই ফিরতে দেখা যায় অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকেও। মিড অন এবং স্কোয়ার অঞ্চলে পরপর দুটি চার মেরে শামির স্বপ্নভঙ্গের এই ওভারক আরও বেদনাদায়ক করে তোলেন তিনি।
আজ স্পিন বিভাগে শুরুতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি মরশুমে প্রথমবার খেলতে নামা মুজিবুর রহমান।ওয়ার্নার এবং বেয়ারস্টোর আক্রমণাত্মক মেজাজের সম্মুখীন হন তরুণ লেগস্পিনার রবি বিশনোইও। মূলত তাদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের দৌলতেই অষ্টম ওভার শেষে বিনা উইকেটে হায়দ্রাবাদের দলগত স্কোর পৌঁছে যায় ৮৩ রানে।
মাত্র ২৯ বলে ২ টি দুর্দান্ত ছয় ও ৫টি চারের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশতক পূর্ন করেন বেয়ারস্টো। এর সাথে সাথেই এই মরশুমের প্রথম শতকীয় পার্টনারশিপে পৌঁছে যায় এই জুটি।১১ তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের বলে পরপর দুটি ছয় এবং একটি চার তুলে নিয়ে বেয়ারস্টো বুঝিয়ে দেন দুবাইয়ের ময়দানে স্পিনারদের জন্য আজ কোন মাফ নেই। অন্যদিকে সাবধানী হাতে অ্যাংকারের ভূমিকা পালন করেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। খারাপ বলকে শাসন করতে আজ যেমন কোন কার্পণ্য করেননি তিনি তেমনি সম্মান দিয়েছেন প্রতিটি ভালো বলকে। মাত্র ৩৭ বলে ৫টি চার ও ১টি অনবদ্য ছয়ের সাহায্যে নিজের অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আবুধাবিতে লাজাবাব ‘বুম বুম’ বুমরাহ, নীল-ঝড়ে উড়ে গেল রাজস্থান
অপরপ্রান্তে বেয়ারস্টো আজ স্পিনারদের রেহাই দেননি একমুহূর্তের জন্যও। চোদ্দতম ওভারে মুজিব ফিরতেই তাকে পরপর দুটি ছয় মেরে নিজের দুরন্ত শতরানের গোড়ায় পৌঁছে যান তিনি।কিন্তু ১৬ তম ওভারে রবি বিশনোইয়ের বলে ৪০ বলে ৫২ রান করে ফিরতে হয় অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে। একই ওভারে শেষ হয়ে যায় মাত্র ৫৫ বলে ৬টি ছয় ও ৭টি চার দিয়ে সাজানো জনি বেয়ারস্টোর ৯৭ রানের মারমুখী ইনিংসও।দুরন্ত বোলিংয়ে পাঞ্জাবকে আরেকবার ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন রবি। পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মনিশ পান্ডেকে সাজঘরে ফেরান আরেক তরুণ ফাস্ট বোলার অর্শদীপ সিংহ। পরপর তিনটি উইকেট পতনের ফলে ইনিংসের শেষ পর্বে রানের গতিতে কিছুটা ভাটা আসে হায়দ্রাবাদের।
আঠারো তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবদুল সামাদকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন রবি বিশনোই। উনিশতম ওভারে নিকোলাস পুরানের অসাধারণ ক্যাচের সৌজন্যে ফর্মে থাকা প্রিয়ম গর্গের উইকেট তুলে নেন অর্শদীপ।প্রথম পর্বে মার খেলেও শেষ পর্বে মূলত এই অসাধারণ বোলিংয়ের দৌলতে ম্যাচে দুর্দান্ত ক্যামব্যাক করে পাঞ্জাব।
শেষ ওভারে উইলিয়ামসনের হাতে একটি ছয় ও একটি চার খেলেও অভিষেকের উইকেট তুলে নেন শামি। শেষপর্যন্ত ২০২ রানের টার্গেট দিলেও মনোবল কিছুটা তুঙ্গে থাকবে পাঞ্জাবের।যদিও এই রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া মোটেই সহজ হবে না তাদের পক্ষে।