দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ দুবাইয়ের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টসে জিতে আজ প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। মুলত মাত্র ৫৫ বলে ৬টি ছয় ও ৭টি চার দিয়ে সাজানো জনি বেয়ারস্টোর ৯৭ রানের মারমুখী ইনিংস এবং ডেভিড ওয়ার্নারের ৪০ বলে সংগৃহীত অর্ধশতরানের সৌজন্যেই পাঞ্জাবের সামনে ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে তারা। এই লক্ষ্যমাত্রা হয়তো আরো অনেকটাই বেশি হতে পারত যদি না শেষপর্বে পরপর উইকেট তুলে নিতেন রবি বিশনোই এবং অর্শদীপ সিংহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। ব্যক্তিগত ৯ রানে ওয়ার্নার এবং খলিলের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে।ফলত রাহুলের সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন তরুণ সিমরন সিংহ। কিন্তু ভাল শুরু করলেও মাত্র ১১ রানে খলিলের বলে প্রিয়মের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকেও। রান তাড়া করতে গিয়ে আরো চাপের মুখে পড়ে যায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
পরপর দুটি উইকেট হারানোর কারণে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক রাহুল এবং নিকোলাস পুরানের ওপর। গত ম্যাচের মতোই এম্যাচেও ভালোই শুরু করেন পুরান। অভিষেক শর্মার বলে পরপর দুটি বড় ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু এই ওভারেই উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১১ রানে ফিরে যেতে হয় অধিনায়ক কে এল রাহুলকে।
কিন্তু আজ সুদৃঢ় ছিলেন পুরান।স্বকীয় ভঙ্গিতে আব্দুল সামাদের একটি ওভারে পরপর চারটি ছয় মারেন তিনি। মাত্র ১৭ বলে ৭টি বিশাল ছয় ও ২ টি চারের সাহায্যে বিধ্বংসী অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি। অন্যদিকে আজও ম্যাক্সওয়েল সেভাবে টাচে ছিলেন না।১১ বলে মাত্র ৭ রান করে প্রিয়ম গর্গের সৌজন্যে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
আরও পড়ুনঃ ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো জুটির জোরালো আক্রমণে বিধ্বস্ত পাঞ্জাব, সামনে ২০২ রানের বিশাল টার্গেট
কিন্তু আজ পুরান রেয়াত করেননি কাউকেই।অন্যদিকে ক্রমাগত উইকেট পতনের পরও নিজের কাঁধে সমস্ত দায়িত্ব তুলে নেন তিনি।মূলত তার সৌজন্যেই ৪ উইকেট হারানোর পরেও ১২ ওভার শেষে ১১২ রানে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব।
কিন্তু ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই গত ম্যাচে ভালো টাচে থাকা মনদীপ সিংহকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান রাশিদ খান।ফলে অন্যপ্রান্তে একবারে একা হয়ে পরেন ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হিটার নিকোলাস পুরান। তবে হাল ছাড়েননি তিনি, খলিলের বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে তিনি বুঝিয়ে দেন যতক্ষণ তিনি মাঠে আছেন বিনা যুদ্ধে তিনি মাটি ছাড়বেন না।কিন্তু এই ওভারেই কটবিহাইন্ড করে মুজিবকে ফেরান খলিল।এরপর একা পুরানের পক্ষেও সম্ভব ছিল না পাঞ্জাবকে জয়রথে পৌঁছে দেবার।তাই ১৫ তম ওভারে রাশিদের বলে বড় শট নিতে গিয়ে ৩৭ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয় দিয়ে সাজানো ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। পরের বলেই নিজের স্পেলের শেষ ওভারে এল.বি.ডবলু করে মহম্মদ শামিকেও ফিরিয়ে দেন রশিদ খান।ফলে বাতাসে সম্ভাব্য জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে হায়দ্রাবাদ।
১৭ তম ওভারে দুরন্ত ইয়র্কারে শেল্ডন কর্টেলকেও ফিরিয়ে দেন টি.নটরাজন।পরের বাড়ি অধিনায়ক ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফিরতে হয় অর্শদীপ সিংহকে। ফলে তিন ওভার বাকি থাকতে ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস।
৬৯ রানের এই বড় জয়ের ফলে নিজেদের ছ ম্যাচের তিনটি জিতে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল হায়দ্রাবাদ।