দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ শারজার ময়দানে আইপিএলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।টসে জিতে আজ প্রথমবার করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। শুরুতে ভালো বোলিংয়ের দৌলতে প্রথমে ব্যাট করে হেটমায়েরের মাত্র ২৪ বলে ৫ টি চার ও ১টি ছয় দিয়ে সাজানো ৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস এবং মার্কাস স্টয়নিসের ৩০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের টার্গেট সেট করে দিল্লি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অশ্বিনের দুরন্ত স্পিনের জাদুতে মাত্র ৮ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় গত ম্যাচের ট্রাজিক নায়ক বাটলারকে। শারজার এই পিচ যে অন্যান্য ম্যাচের থেকে কিছুটা আলাদা তা বোঝা গিয়েছিল দিল্লির ব্যাটিংয়ের সময়ই। তাই প্রথমেই ট্রাম্পকার্ড বাটলারকে হারিয়ে সাবধানী হাতে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দিকে মন দেয় রাজস্থান। ক্রিজে ছিলেন তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। কিন্তু নবম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই হেটমায়ারের অসাধারণ ক্যাচের সৌজন্যে অনরিখ নকিয়া মাত্র ২৪ রানে ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে। ফলে চাপ আরও বেড়ে যায় রাজস্থানের ওপর এবং সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে সঞ্জু স্যামসন ও তরুণ যশস্বীর কাঁধে।
আরও পড়ুনঃ রশিদ-আ-বাদের ঘূর্ণি ঝড়ে পাঞ্জাবের ‘গুমর’ ভঙ্গ
কিন্তু আজ বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি স্যামসানও। স্টয়নিসের বলে আবার সেই হেটমায়ারের অসাধারণ ক্যাচ এর সৌজন্যে মাত্র ৫ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারেই অশ্বিনের দুরন্ত ঘূর্ণিতে আক্সারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মহিপাল লোমরোরও।ফলতো ক্রিজে আসেন রাজস্থান ওয়ান্ডার রাহুল তেওয়াটিয়া।
কিন্তু ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে স্টয়নিস বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান এক প্রান্ত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালকে। ৩৬ বলে ২টি ছয় ও ১টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান সংগ্রহ করে ফিরে যেতে হয় তাকে।
ফলত ম্যাচের সমস্ত আশা ছিল একমাত্র রাহুল তেওয়াটিয়ার উপর। রাজস্থান ফ্যানেদের অনেকেই আশা করছিলেন শারজার মাঠে আজাব আরেকটি অঘটন ঘটাবেন তিনি।কিন্তু আক্সার প্যাটেলের বলে বড় শট নিতে গিয়ে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন ফিরে যান অ্যান্ড্রু টাইও, চাপ বাড়তে থাকে তরুণ রাহুলের উপর।
অন্যদিকে ম্যাচের প্রায় ৬ ওভার বাকি থাকতেই বাতাসে নিজেদের পঞ্চম জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে দিল্লি ক্যাপিটালস। কারণ এই অবস্থান থেকে জোফরা আর্চার এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার পক্ষে ম্যাচ জিতে নেওয়া যে অনেকটাই অসম্ভব তা ভালই জানতো তারা। ১৫ তম ওভারে চাপের মুখে কগিসো রাবাডার বলে বড় শট নিতে গিয়ে আউট হন জোফরা আর্চার এবং ১৮ তম ওভারে আবারও সেই সিমরন হেটমায়ারের দক্ষ ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে হর্সল প্যাটেলের বলে ফিরে যান শ্রেয়াস গোপালও। ফলে ক্রিজে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েন রাহুল। কিছু অসাধারণ বড় শট নিয়ে আশা জাগালেও শেষ ওভারে ৩৮ রানের মাথায় তাকে বোল্ড করে রাজস্থানের শেষ পেরেক পুঁতে দেন রাবাডা।ফলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারের আগেই ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান।
৪৬ রানের এই বড় জয়ের ফলে নিজেদের ছয় ম্যাচে ৫টি জয় তুলে নিয়ে লিগ টেবিলের প্রথম স্থানে উঠে এলো দিল্লি।