দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইপিএলের রবিবারের ডবল হেডারের প্রথম পর্বে আজ মুখোমুখি হতে চলেছে সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস। একদিকে নিজেদের গত ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়ে হায়দ্রাবাদের মনোবল এখন তুঙ্গে। অন্যদিকে নিজেদের গত ম্যাচে শারজায় খেলা সত্ত্বেও হাড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজস্থানকে। তাই আজ জিতে নিয়ে দুই দলই লীগ টেবিলের প্রথম পর্বে উঠে আসতে মরিয়া।
সানরাইজেস হায়দ্রাবাদের ক্ষেত্রে জনি বেয়ারস্টো গতদিনের ফর্ম অনেকটাই চিন্তামুক্ত করবে ওপেনিং ব্যাটিংকে। অন্যদিকে ভাল সাথ দেবার জন্য অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারতো আছেনই। গত ম্যাচে যেভাবে সুন্দর শতাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন তারা, তা অবশ্যই বাড়িয়ে দেবে টিমের মনোবল। অন্যদিকে মিডিল অর্ডার নিয়েও চিন্তা কিছুটা কমেছে কেন উইলিয়ামসন দলে ফেরার পর মিডল অর্ডারে রানের খরা অনেকটাই কেটেছে। শুধু তাই নয়, বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রিয়ম গর্গ এবং অভিষেক শর্মার মত তরুণ তুর্কিরা যেভাবে ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা সত্যিই অনবদ্য।
হায়দ্রাবাদের মূল চিন্তা অবশ্যই বোলিং নিয়ে। ভুবনেশ্বর কুমারকে হারাবার পর অভিজ্ঞতার অভাব অনেকটাই ভোগাবে তাদের। তরুণ আব্দুল সামাদ বা অভিষেক শর্মার পক্ষে প্রতিদিন চার ওভার করে দেওয়া সম্ভব হবে না। যদিও আশা দেখাচ্ছেন টি. নটরাজন এবং সন্দীপ শর্মা। গতদিনে সময়মত বেশ কিছু বড় উইকেটও তুলে নিয়েছেন তারা কিন্তু দলের বোলিং এখনো মূলত নির্ভরশীল রাশিদ খানের উপর। গত দিনে ব্যাঙ্গালোর জয়েরও বড় কারণ ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রোলার কোস্টার ম্যাচে ‘কাবিলে তারিফ’ জয় কলকাতার, নারিনের নাগপাশে বদ্ধ পাঞ্জাব
অপরপক্ষে রাজস্থানের আকাশে এখন চিন্তার মেঘের ঘনঘটা। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে ভালো ফর্ম দেখালেও গত কয়েকটি ম্যাচের পুরোপুরি ব্যর্থ রাজস্থানের নায়ক সঞ্জু স্যামসন। মরশুমের শুরুটা ভালো শুরু করলেও গত কয়েকটি ম্যাচ যাবত রান আসছে না স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে।বলতো তাদের একমাত্র ভরসা এখন জস বাটলার। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরপর বড় রান করেছেন এমন নিদর্শন বেশ কম। মধ্যভাগে তরুণ মহিপাল বা রাহুল তেওয়াটিয়ার পক্ষে সর্বদা চাপের মুখে জয় তুলে আনা বেশ কষ্টকর। আর সেই কারণেই ভুগতে হচ্ছে রাজস্থানকে। তবে রাজস্থান ফ্যানেদের জন্য সুখবর আজ থেকে দলের সঙ্গে মাঠে নামবেন বেন স্টোকস। তার মতো অলরাউন্ডার দলে থাকলে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা রাজস্থান শিবিরের।
বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও বেন স্টোকসের উপর নির্ভরতা অনেকটাই। জোফরা আর্চার ভালো বোলিং করলেও অন্য প্রান্ত থেকে তেমন একটা বড় সঙ্গ পাচ্ছেন না তিনি। যদিও কার্তিক তিয়াগী এবং অঙ্কিত রাজপুতের প্রদর্শন যথেষ্ট ভালো কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব রয়েই গেছে দলে, সেক্ষেত্রে বেন স্টোকস টিমের সাথে যুক্ত হলে অনেকটাই চাপ কমবে রাজস্থানের। স্পিন বিভাগের ক্ষেত্রে রাহুল এবং শ্রেয়স গোপাল ভালোই কাজ চালিয়ে দিচ্ছেন।সময়মতো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও এসেছে তাদের ঝুলিতে।
তাই বেন স্টোকস ফিরে আসার পর রাজস্থানকে আর অতটা হালকা হিসেবে নিতে পারবেনা বিপক্ষের দল। যদিও এই ম্যাচে খাতায়-কলমে অ্যাডভান্টেজ কিছুটা থাকবে হায়দ্রাবাদের পক্ষে। কিন্তু দুবাইয়ের এই পিচে কি হয় কিছুই বলা যায় না।
রাজস্থান রয়্যালস (সম্ভাব্য দল): স্টিভ স্মিথ অধিনায়ক, জস বাটলার (উইকেট কিপার),সঞ্জু স্যামসন,যশস্বী জয়সওয়াল,মহীপাল লোমরোর, রাহুল তেওয়াটিয়া, বেন স্টোকস ,শ্রেয়স গোপাল,জোফরা আর্চার,অঙ্কিত রাজপুত,কার্তিক তিয়াগী।
সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ(সম্ভাব্য দল ): জনি বেয়ারস্টো (উইকেট কিপার),ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), ক্যেন উইলিয়ামসন ,মনিশ পান্ডে, প্রিয়ম গর্গ,আব্দুল সামাদ, অভিষেক শর্মা, রাশিদ খান, টি. নটরাজন,সিদ্ধার্থ কল, সন্দীপ শর্মা।