দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের মধ্যাহ্নে দুবাইয়ের ময়দানে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই এবং হায়দ্রাবাদ। দক্ষিণী ডার্বির এই ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আজ তিনি শুরু করেন স্যাম ক্যুরান এবং ফ্যাফ ডুপ্লেসিসকে দিয়ে। যদিও আজ তেমন ভাবে সফল হতে পারেননি ফ্যাফ।খাতা খোলার আগেই সন্দীপ শর্মার বলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে ভালো শুরু করেছিলেন স্যাম ক্যুরান।মাত্র ২১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয় সহযোগে ৩১ রানের অসামান্য ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথমে সময় নিলেও ৩৮ বলে ১ টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪২ রানের সাবধানী ইনিংস উপহার দেন ওয়াটসন। ৩৪ বলে ৪১ রান করলেও সময় নিয়ে নেন রাইডুও।ফলে ভীত তৈরি হলেও রানের গতি ছিল বেশ মন্থর।
তবে শেষ অর্ধে ভালো ফিনিশিং টাচ দেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ২১ রানের জরুরী ক্যামিও উপহার দেন ধোনি। অন্যদিকে মাত্র ১০ বলে ২৫ রানের বিধ্বংসী ক্যামিও খেলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে চেন্নাইয়ের স্কোরকে ১৬৭ রানের লড়াকু লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন জাদেজা।
আরও পড়ুনঃ দুবাইয়ের দক্ষিণী ডার্বিতে মুখোমুখি চেন্নাই-হায়দ্রাবাদ, সম্ভাব্য জয় ছিনিয়ে নেবে কারা?
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও চতুর্থ ওভারে স্যাম ক্যুরানের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। একই ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে মনিশ পান্ডেও। বলতো সম্পূর্ণ দায়িত্ব এসে পড়ে জনি বেয়ারস্টো এবং প্রাক্তন হায়দ্রাবাদি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কাঁধে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাটিং করতে থাকেন দুজনেই। বড় মাঠে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মূলত সিঙ্গেল ডাবলস তুলে নেবার দিকেই লক্ষ্য দেন তারা। কিন্তু পরপর দুটি উইকেট হারানোর ফলে রানের গতিতে নেমে আসে মন্থরতা। শেষ পর্যন্ত রানরেটের চাপ সামলাতে না পেরেই মাত্র ২৩ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো।
ফলে তরুণ প্রিয়াম গর্গ এবং উইলিয়ামসনের ওপরে এসে পরে গুরুদায়িত্ব, জাদেজা চাওলা এবং করন শর্মার ঘূর্ণি সামলে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার। দ্বাদশ ওভারে জাদেজার বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি তুলে নিয়ে তাকে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। কিন্তু বড় শট নিতে গিয়ে ১৫ তম ওভারে ১৬ রান করে করন শর্মার বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় প্রিয়মকেও। ১৭ তম ওভারে ব্রাভোর বলে ছয় মেরে আশা জাগালেও বড় শট নিতে গিয়ে মাত্র ১২ রানে আউট হয়ে ফিরতে হয় বিজয় শংকরকেও।
একদিকে উইকেট পতন জারি থাকলেও আজ ধৈর্য হারাননি উইলিয়ামসন। মাত্র ৩৬ বলে ৬টি সুন্দর বাউন্ডারির সাহায্যে মরশুমে নিজের প্রথম অর্ধশতরান পূর্ন করেন তিনি। কিন্তু আজ মাঠে তিনি ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি। শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানের ফাইটিং ইনিংস খেলে করণ শর্মার বলে দীপক চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকেও। কিন্তু একই ওভারে পরপরই একটি ছয় এবং একটি চার তুলে নিয়ে ম্যাচে আশা জিইয়ে রাখেন রশিদ খান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শার্দুল ঠাকুরের বলে হিট উইকেট হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকেও। ফলত: বাতাসে নিশ্চিত তৃতীয় জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে চেন্নাই। শেষ ওভারে ব্রাভো ফিরিয়ে দেন শাবাজ নাদিমকেও। ফলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে মাত্র ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস। এই জয়ের সাথে সাথে নিজেদের আট ম্যাচের তিনটি জিতে নিয়ে লীগটেবিলে নিজেদের আশা জিইয়ে রাখলো চেন্নাই।