দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথমেই টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যদিও শারজার ছোট মাঠে শুরুটা ভালো করলেও রানের গতিতে খুব একটা দ্রুততা আনতে পারেনি ফিঞ্চ বা দেবদূত। ১৮ এবং ২০ রানে দেবদূত এবং ফিঞ্চ আউট হয়ে ফেরার পর এই চাপে পড়ে যায় ব্যাঙ্গালোর। অধিনায়ক কোহলি ৩৯ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৪৮ রানের সুন্দর ইনিংস উপহার দিলেও সেভাবে তার সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। গত ম্যাচের নায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও আজ ব্যাট করতে আসেন অনেকটা শেষের দিকে। ফলে দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যান তিনিও। শেষ পর্যন্ত ক্রিস মারিসে ৮ বলে খেলা বিধ্বংসী ২৫ রানের ক্যামিও দৌলতে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
পিচ ক্রমাগত স্লো হয়ে এলেও শারজার ছোট মাঠে এই স্কোর মোটেও যথেষ্ট নয়।মনে রাখতে হবে বিপক্ষ দলের ছিলেন ক্রিস গেইলও।তবে ব্যাঙ্গালোর বোলিং লাইন আপ অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যথেষ্ট শক্তিশালী।
আরও পড়ুনঃ কিং কোহলি নাকি ক্যারিবিয়ান বস কে হবেন শারজা শাহ কে করবেন লস!
যদিও জবাবে ব্যাট করতে নেমে গেইল নয় আজও মায়াঙ্কের উপরেই ভরসা রাখেন রাহুল।আজ শুরুটাও ছিল বিধ্বংসী মেজাজেই। পাওয়ার প্লের ছ ওভারেই ৫৬ রানের মারমুখী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তারা।কিন্তু মাত্র ২৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে সাজানো বিধ্বংসী ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে চাহালের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় মায়াঙ্ককে। তবে হাল ছাড়িনি অধিনায়ক রাহুল ক্রিস গেইলকে সাথে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি।মাত্র ৩৭ বলে ৪টি ছয় ও ১টি চারের সাহায্যে নিজের অধিনায়কোচিত অর্ধশতক পূর্ন করেন তিনি।
অন্যদিকে লয়ে ফেরার চেষ্টা করেন গেইলও।প্রথমে একটু সময় নিলেও সিরাজকে পরপর মাঠের বাইরে পাঠান তিনি। বুদ্ধিমত্তার সাথে দু তরফের এই সুন্দর ব্যাটিংয়ের ফলেই ম্যাচ শেষের চার ওভার আগেই বাতাসে দ্বিতীয় জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে পাঞ্জাব।ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে পরপর দুটি ছয় মেরে মাত্র ৩৬ বলে ৫টি ছয় ও ১টি চারের সাহায্যে নিজের অর্ধশতক পূর্ন করেন ইউনিভার্স বস। গেইল রাহুলের এই দুর্দান্ত পার্টনারশিপের জেরেই সহজ জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব।