দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিশ্ব ফুটবলে একটি কাল দিন ২৫’শে নভেম্বর। এই দিনই রাতে আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়ানের খবর সামনে আসে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ডাক্তার লিওপোল্ডো লুকের বাড়ি এবং প্রাইভেট ক্লিনিকে তল্লাশি চালিয়েছে। মারাদোনার চিকিত্সায় কোনো অবহেলা হয়েছিল কি না-পুলিশ তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
গত বুধবার দিয়েগো মারাদোনা আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের কাছে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬০। মারাদোনাকে কি ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল- তা তাঁর দুই মেয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এবার সেই ওষুধের সুত্র ধরেই তদন্তের শুরু। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে মারাদোনার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এক সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর পরই তাঁর অ্যালকোহল পানের ওপর নির্ভরশীলতা কাটানোর জন্য চিকিত্সা শুরু হবার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত: মারাদোনাকে বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকাদের একজন। তাঁকে ‘গড অফ ফুটবল’ এও আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালে তার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে। তার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় অভূতপূর্ব শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাকে সমাহিত করার আগে সারাদিন রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে মারাদোনার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আসলে এক পর্যায়ে মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ হয়।
এমনকি শোকার্ত মানুষ যখন কফিনের কাছে আসতে চেয়েছিল তখন তাদের সামাল দিতে পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। একপর্যায়ে মারাদোনার কফিন জনসম্মুখে যে জায়গায় রাখা হয়েছিল সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর মোটর শোভাযাত্রায় মারাদোনার মরদেহ বুয়েনোস আইরেস শহরের উপকণ্ঠে বেল্লা ভিস্তায় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে মারাদোনাকে অন্তিম শয়ানে রাখা হয়।