দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ২০০২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো সেনেগাল। যে বিশ্বকাপারের পা থেকে সেই আশ্চর্য গোল এসেছিল, সেই নক্ষত্র ফুটবলার পাপা বউবা দিওপ প্রয়াত। সেনেগালের এই ফুটবল তারকার জীবন রথ থেমে গেল মাত্র ৪২ বছর বয়সেই। তবে এই ফুটবল তারকা দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৫ তারিখ রাতে ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার প্রয়াণের পর ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আরও এক শোক বিহ্বল খবর।
উল্লেখ্য জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতাও ছিলেন দিওপ। সেনেগাল ওইবার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল। দিওপ এবং তাঁর সতীর্থরা তাঁদের স্বকীয় প্রতিভায় গোটা ফুটবল বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছিলেন। যদিও সেবছর আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ক্যামেরুনের কাছে হার স্বীকার করতে হয় সেনেগালকে। নেশনস কাপে অংশগ্রহণ করা দলেরও সদস্য ছিলেন পাপা বউবা দিওপ।
একটি শোকবার্তা তে ফিফা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন ‘সেনেগালের ফুটবল কিংবদন্তি পাপা বউবা দিওপের মৃত্যু সংবাদে ফিফা শোকাহত। একদা বিশ্বকাপের নায়ক চিরকাল নায়কের মর্যাদাই পাবেন।’
উল্লেখ্য, দেশের হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে অভিষেক হয় দিওপের। এর পর সেনেগালের হয়ে ৬০টি ম্যাচ খেলেন তিনি। পাপা আফ্রিকান দলটির মাঝমাঠের স্তম্ভ ছিলেন। কিন্তু ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে তাঁর অসাধারণ গোলগুলি ফুটবলপ্রেমীদের মণিকোঠায় চিরদিন থেকে যাবে। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেনেগালের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘদেহী এই ফুটবলার। পাশাপাশি ফরাসি ক্লাব লেন্স, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহ্যাম, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, বার্মিংহাম সিটি-র মতো ক্লাবের হয়েও খেলেছেন দিওপ।