দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইএসএলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এফসি গোয়া এবং কেরালা ব্লাস্টার্স। আজ শুরু থেকে দুই দলই ছিল ভীষণ আক্রমণাত্মক। বিশেষত আজ যেভাবে দ্রুত গতিতে খেলা শুরু করে দুই পক্ষ তা ছিল অনবদ্য। ১৭ মিনিটের মাথায় আজ কেরালার রোহিতের ব্যাকপাসের ভুল দুর্দান্ত সু্যোগ পেয়েছিলেন অ্যাঙ্গুলো।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে বেরিয়ে যায় বলটি। যদিও আজ শুরু থেকেই দুরন্ত ফুটবল খেলেছিল কেরালা কিন্তু ৩০ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার সুযোগ চলে আসে গোয়ার এবার আর কোন ভুল করেনি ইগর অ্যাঙ্গুলো।অ্যালবিনো গোমসকে আজ সহজেই পরাস্ত করেন তিনি। ফলে ১-০ গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া।
গোলের পর আরো বেশি আগ্রাসী খেলা শুরু করে কেরালা। যদিও খেলোয়াড়রা বিশ্রাম কক্ষে ফেরা অবধি খেলার ফলাফলে আর কোনো পরিবর্তন আসেনি কিন্তু আজ সত্যিই অনবদ্য খেলা উপহার দিয়েছিল দুই দলই। একদিকে যেমনি অ্যাঙ্গুলো ব্র্যান্ডন, এডু বেডিয়ারা মুহুর্মুহু আক্রমণের মাধ্যমে বারবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন গোয়ার জন্য অন্যদিকে তেমনি গ্যারি হুপার, নাওরেম প্যারেরারাও বেশকিছু দুরন্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন। যদিও প্রথমার্ধে ইকুয়ালাইজার খুঁজে পাইনি গোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আর যথেষ্ঠ আক্রমণাত্মক হবার চেষ্টা করছিল কেরালা ব্লাস্টার্স।
কিন্তু ৫২ মিনিটের ব্যান্ডনের দুরন্ত ক্রস থেকে অ্যালবিনোকে দ্বিতীয়বার পরাস্ত করেন অর্টিজ। হলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। যদিও শুরু থেকে বেশ ভালো ডিফেন্ড করছিল বাখারি কোনেরা। কিন্তু মুহূর্তের ভুল থেকে আজ ডিফেন্ডার ঘাড়ে নিয়েই আজ গোল করে যান অর্টিজ। অন্যদিকে আজ সিডোঞ্চার যথেষ্ট অভাব বোধ করেছে কেরালা। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর আজ কোনেকেও তুলে নেন ভিকুনা। বদলে নামানো হয় একজন স্ট্রাইকার জে মুরেকে। কিন্তু বারবার চেষ্টা করলেও আজ গুরুত্বপূর্ণ গোলের মুখটি খুলতে পারেনি কেরালা। তবে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে আজ পিছপা হয়নি তারা। সুযোগ পেয়েছিলেন গোমেজও কিন্তু সেভাবে তিনি কাজে লাগাতে পারেননি আজ।
অন্যদিকে ডিফেন্সে কিছুটা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে গোয়াও। যদিও সেভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি তারাও। কিন্তু আজ যেভাবে আক্রমনাত্মক খেলা খেলে দুই দলই তা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। স্ট্রাইকার বাড়িয়েও আজ তেমনভাবে কোন সফলতা তুলতে পারেননি কিবু ভিকুনা। বারবার চেষ্টা করলেও আসলে আজ শেষ পর্যন্ত ভালো পরিশেষ করতে পারেনি কেরালা। অন্যদিকে কোনে বেরিয়ে যাবার পরে রক্ষণ বিভাগও নড়বড়ে হয়ে যায় কেরালার। তবে অবশ্যই অন্য ম্যাচের মতই আজও তেমন ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি গ্যারি হুপার। বিশেষত সিডোঞ্চা না থাকায় আজ তাঁর ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করে তেমন ওয়ার্কলোড নিতে পারেননি তিনি।
কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় কাঙ্খিত গোলটি কেরালাকে পাইয়ে দেন গোমেজ। নিশু কুমারের দুরন্ত ক্রস আজ হেড করে গোলের জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে ২-১ ব্যবধান কমলেও আলবিনো গোমসের ভুলে আজ শেষবেলায় আবারো গোল খেয়ে যায় কেরালা। অ্যাঙ্গুলোর পায়ে আজ অ্যালবিনো বল সাজিয়ে দেন বললেই চলে।আর সেই বল গলে চালান করতে কোন ভুল করেননি এই বুদ্ধিমান স্ট্রাইকার ফলে ৩-১ এর ব্যবধানে শেষপর্যন্ত হারতে হয় কেরালাকে।